Ganga Erosion : গঙ্গা মাতাকে তুষ্ট করলেই ঠেকানো যাবে ভাঙন! মালদায় অভিনব উদ্যোগ মহিলাদের – local women performed puja in malda to prevent the ganges erosion


গঙ্গা ভাঙন বেশ অনেক বছর ধরে সব থেকে বড় সমস্যা মালদা জেলার রতুয়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন রোধে প্রশাসন বা সরকারের থেকে মিলছে না তেমন সাহায্য। তাই প্রশাসনিক ভরসা দূরে ঠেলে এবার রুদ্র গঙ্গাকে তুষ্ট করতে পুজো করলেন ভাঙন প্রবণ এলাকার মহিলারা৷ রতুয়া-১ ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম রতনপুর গ্রামে হল এই পুজো৷ গ্রামের এক মহিলা বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই গঙ্গার ভাঙনে নদীর বাঁধ ফেটে গিয়েছে৷ জলস্তর নীচে থাকায় জল এখনও এলাকায় ঢোকেনি৷ কিন্তু ভাদ্র মাসে নদীর জল বাড়বে৷ এলাকায় বন্যা হবেই৷ এখনও পর্যন্ত বাঁধ মেরামতির কাজে হাত দেয়নি প্রশাসন৷ প্রশাসনের কেউ এলাকাতেও আসেননি৷

Malda Ganga Erosion : নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে গঙ্গা, রেড অ্যালার্ট জারি মালদায়
ফলে আমাদের যে এবার গৃহহীন হতে হবে, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই৷ এখন মা গঙ্গাই ভরসা৷ সে শান্ত হলে এলাকা বাঁচবে৷ বাঁচবে অন্তত দেড় লাখ মানুষ৷ তাই এদিন আমরা পুজো করে, গান গেয়ে গঙ্গাকে শান্ত হওয়ার আর্জি জানিয়েছি’। চলতি মরশুমে গঙ্গার ভাঙনে বিপর্যস্ত মানিকচকে ভূতনি চরে থাকা তিনটি অঞ্চলের সঙ্গে রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা ও বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতও৷ ইতিমধ্যে প্রচুর বাড়ি নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে৷ এই অবস্থায় নদীর ধারে থাকা বাড়িঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছেন গ্রামবাসীরা৷

Midnapore News : বোর্ড গঠনের পরেও গড়িমসি! গ্রাম পঞ্চায়েতের গেটে ঝুলল তালা
তাঁদের আশঙ্কা, ভাদ্রে নদীর জল বাড়লেই তাঁরা বানভাসি হবেন৷ তার সঙ্গে ভাঙনে তলিয়ে যাবে বাড়িঘর৷ তাই সময় থাকতেই সাবধান হচ্ছেন তাঁরা৷ এদিন গঙ্গাপুজো দিয়ে পশ্চিম রতনপুরের বাসিন্দা শিবানী চৌধুরী বলেন, ‘গঙ্গা আমাদের আর কিছু রাখেনি৷ সব গিলে নিয়েছে৷ এবার বাড়ি গিলতে আসছে৷ আমরা গরিব মানুষ৷ বাড়িঘর হারিয়ে যাব কোথায়? খাব কী? এখনও পর্যন্ত BDO বা DM এখানে আসেননি৷ সেচ দফতরেরও দেখা নেই৷ এদিকে বাঁধ ভেঙে হাঁ হয়ে রয়েছে৷ যে কোনও সময় জল ভিতরে ঢুকে আসবে৷ তখন বাঁধের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না৷

Jhargram News : বালি তুলতে জেসিবি নয়, এলাকার শ্রমিকেই ভরসা
এখন গঙ্গাই আমাদের ভরসা৷ সে তুষ্ট হলে আমরা বাঁচব৷ তাই আজ আমরা এলাকার ৫০ জন মহিলা পুজো দিলাম’। বিলাইমারি অঞ্চলের উপপ্রধান রামলাল চৌধুরী বলেছেন, ‘এবার প্রথম নয়৷ এই নিয়ে সাতবার ভূতনির বাঁধ ভাঙল৷ যখনই বাঁধ ভাঙে, সেচ দফতর আর প্রশাসনের লোকজন আসে, মোটা টাকার টেন্ডার হয়, ঠিকাদাররা লুটের রাজত্ব চালায়৷

Purba Medinipur : জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত! মহিষাদলে রাস্তা সংস্কারে গ্রামবাসীরা
ঠিকমতো কাজ হলে বছরের পর বছর ভাঙনে ভূতনির আয়তন ৫০ শতাংশ কমে যেত না৷ আসলে সরকার কিংবা সেচ দফতর, কেউ চাইছে না ভূতনি বাঁচুক৷ এবারও বাঁধ ভেঙেছে৷ জলস্তর নীচুতে থাকায় এখনও এলাকায় জল ঢোকেনি৷ তবে ভাদ্রে নদীর জল বাড়লে এলাকায় বন্যা হবেই৷ সঙ্গে চলবে আরও তীব্র ভাঙন৷ মানুষ যাবে কোথায়? এলাকায় এখন শুধুই আতঙ্ক’। রতুয়া BDO অফিসের এক আধিকারিক বলেছেন, ‘এলাকায় ভাঙন রোধে জোরকদমে কাজ চলছে। প্রশাসন সতর্ক আছে। জল বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *