ইন্দ্রনীলবাবুর অভিযোগ, ১৫ আগষ্ট বর্ধমান স্টেশনের সামনে সুউচ্চ স্তম্ভে জুতো পরেই দেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপি সাংসদ। এই ঘটনা জাতীয় পতাকাকে অপমান করার সামিল। একজনের সাংসদের থেকে এই ধরনের আচরণ কাম্য নয় বলে জানিয়েছে ওই সংগঠন। এতে সাধারণ মানুষের ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে বলে জানানো হয়েছে। সাংসদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন অভিযোগকারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগকারী ইন্দ্রনীল গোস্বামী বর্ধমান শহরে বিজেপি নেতা হিসেবেই পরিচিত। বিজেপি করার অপরাধে অতীতেও তাঁর উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় খোদ বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের হওয়ার শহর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এব্যাপারে সাংসদের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পুলিশে দায়ের করা অভিযোগে ইন্দ্রনীল লিখেছেন, ‘বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরেন্দ্র সিং অহলুওয়ালিয়া ১৫ অগাস্ট বর্ধমান স্টেশনে জুতো পড়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সাংসদের এই আচরণে বর্ধমান শহরের নাগরিকবৃন্দ ক্ষুব্ধ ও অপমানিত। সাংসদের এই আচরণ সর্বভারতীয় তথা বাংলার পরিপন্থী। রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে এই আচরণ, তাই আইনত পদক্ষেপ করা হোক।’
গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও মহা ধুমধামে পালিত হয়েছে ৭৭ তম স্বাধীনতা দিবস। কিন্তু জাতীয় পতাকার অবমাননার একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বসিরহাটের একটি ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে জাতীয় পতাকা মাটিতে ছুড়ে ফেলে দিতে দেখা গিয়েছে। যদিও শুভেন্দুর শেয়ার করা সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল। ভিডিয়ো শেয়ার করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপের আবেদন করেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর শেয়ার করা ভিডিয়োতে এক কিশোরকে জাতীয় পতাকা খুলে মাটিতে ফেলে দিতে দেখা গিয়েছে। বসিরহাটের ইতিন্দার এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ‘লজ্জার মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন বিরোধী দলনেতা।