এই বিষয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরোটাই সফল হবে। ছাত্রছাত্রীদের সমর্থন -ভালবাসা যে ভাবে বাড়ছে এবং যে ভাবে একটা গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে, তাতে অবশ্যই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ওখানে সফল হবে। রাজন্যা-সঞ্জীবের ওপরে দায়িত্ব পড়েছে, ওরা যথেষ্টই জনপ্রিয়। ওদের মধ্যে লড়াই করার সক্ষমতা আছে। এই দু’জনে মিলে আগামীদিনে যাদবপুরকে সন্ত্রাস মুক্ত করবে এই বিশ্বাস রাখি।’ তৃণঙ্কুরের হুঁশিয়ারি, ‘আমাদের যেটা শেখাবে তার পালটা জবাব হবে। আজকে আর সাধু হয়ে থাকার দিন নেই। যদি তারা আমাদের গেলাপফুল দেয়, আমার গোলাপফুল দেব। তার যদি গোলাপফুলের কাঁটা দেয়, আমার বাঁশঝাড় দেব।’
অন্যদিকে তৃণাঙ্কুরের পূর্বসূরী তথা বর্তমান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা বলেন, ‘আমি যখন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করতাম তখন ৭০টা সি আর জিতেছিলাম, ১টা জেনারেল সেক্রেটারি জিতেছিলাম। সফলতা কাকে বলে? মারধর করে গায়োর জোরে পুরোটা দখল করে নেওয়া? সফলতা হচ্ছে গণতান্ত্রিক উপায়, তাতে অংশ নিয়ে নির্বাচনে জেতা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সেদিনের সফলতাকে যিনি মাঠে মেরে দিয়েছিলেন তাঁর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জুটার সঙ্গে সেটিং করে তিনি অভিজিৎবাবুকে তাড়িয়েছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। নাকতলা নির্বাচনে জেতার জন্য তিনি সেটিং করেছিলেন, তার ফল আজকে ভুগতে হচ্ছে। শুথু টিএমসিপি নয়, সমস্ত ছাত্র সংগঠন তাদের রাজনৈতিক কাজকর্ম করবে, তার অবারিত পরিস্থিতিকে ছাত্র গণতান্ত্রিক পরিবেশ বলা হয়। শুধুমাত্র বামপন্থীরা ছড়ি ঘোরাবে, এটাকে যদি গণতন্ত্র বলা হয়, তাহলে বলতে হয় অনেককাল আগেই যাদবপুরে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। এখন যা হচ্ছে সেটা অপরাধীকরণ। এই অপরাধীকরণকেই মুক্ত করতে হবে।
পাশাপাশি প্রাক্তন তৃণমূল তথা বর্তমান বিজেপি নেতা অভ্র সেন বলেন, ‘এই ইউনিট বদলে একে-ওকে দায়িত্ব দিয়ে আসলে কোনও লাভ হবে না। বারংবার ইউনিট বদলায়, কারণ কেউ সাফল্য দিতে। এবারেও হবে না।’
