South 24 Parganas News : পরকীয়া জড়িয়ে মহিলার রহস্যমৃত্যু, পরিবারকে না জানিয়েই সৎকারে নিয়ে গেল প্রেমিক! ধুন্ধুমার আমতলাতে – south 24 parganas amtala housewife extra marital affair and unnatural death


প্রতিবেশী ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মহিলা। সেই মহিলারই হল রহস্যমৃত্যু। পরিবারকে কিছু না জানিয়েই দেহ নিয়ে সৎকারের জন্য শ্মশানে নিয়ে পৌঁছে গেল প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এরপর দেহ নিয়ে চলে বিক্ষোভ। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণপুর থানা এলাকার আমতলাতে।

জানা গিয়েছে, মৌসুমি সর্দার নামে ওই মহিলা প্রতিবেশী জয়ন্ত সাহা নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৬ বছর ধরে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন। জয়ন্ত পেশায় একটি ওষুধ দোকানের মালিক। গতকাল ওই মহিলার রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়। অভিযোগ, তারপর জয়ন্ত ও তার বন্ধুরা মহিলার পরিবারকে কিছু না জানিয়ে সরাসরি দেহ নিয়ে চলে যায় সৎকারের জন্য। ইতিমধ্যেই বিষয়টি জানতে পারে মহিলার পরিবার। সঙ্গে সঙ্গে তারাও শ্মসানে পৌঁছায়। শ্মশান থেকে মহিলার দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বিষ্ণপুরের আমতলাতে। মৃত মহিলার পরিজন ও প্রতিবেশীরা দেহ নিয়ে আমতলায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এমনকী জয়ন্তর ওষুধের দোকানেও ভাঙচুল চালান হয়। মৃতার পরিবারের প্রশ্ন, রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও কেন ময়নাতদন্ত না করিয়ে দেহ সৎকার করতে নিয়ে গিয়েছিল জয়ন্ত। তার গ্রেফতারিরও দাবি জানান তাঁরা।

Hooghly News: বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্কের জের? যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে আটক ‘প্রেমিকা’র পরিবার
এই বিষয়ে মৃতার বোন বলেন, ‘জয়ন্ত সাহার কাছেই থাকত দিদি। কিছু হলেই ফোন করত। জয়ন্ত ফোন করে বলে যে দিদির শরীর খারাপ। আমি জিজ্ঞাসা করি কী হয়েছে। বলে, ফোনে বলা যাবে না, এক্ষুণি এস। আমায় বলল, নার্সিং হোমে ভর্তি করেছি। আমি গিয়ে দেখি মুখে কাপড় দেওয়া। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কী হয়েছে? বলল তোমার দিদি আত্মহত্যা করেছে। তরাপর শ্মশানে নিয়ে গিয়ে চুল্লিতে তোলার চেষ্টা করে। আমি বাধা দিই। জয়ন্তই মেরেছে, ওর শাস্তি চাই।’

Bankura News Today : নৃশংস! বউমার গলার নলি কেটে দেহ গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কে ফেলল শ্বশুর-শাশুড়ি
অভিযুক্ত জয়ন্তর দাবি মৌসুমী আত্মহত্যা করেছে। এই বিষয়ে সে বলে, ‘৬ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে মৌসুমীর সম্পর্কের অবনতি হয়। আমার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। ও আলাদা থাকে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ আছে। কাল রাতে আমার ৩-৪ বার ফোন করেছে। আমি বলি সকালে গিয়ে শুনছি। তারপর সকালে গিয়ে দেখি এই অবস্থা। আমি অ্যাম্বুল্যান্সে করে নার্সিং হোমে নিয়ে যাই। নার্সিং হোমে ওরা খুব চেষ্টা করেছে। তারপর মারা যায়।’ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *