প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৩ তারিখে জীবনকৃষ্ণ কুন্ডুর দিদির বাড়ির থেকে চারটি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। জীবনকৃষ্ণ কুন্ডু ও তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, তাঁরা তৃণমূল করেন বলে কেউ বা কারা তাঁদেরকে আতঙ্কিত করার জন্য বা ভয় দেখানোর জন্যই একের পর এক বাড়িতে বোমা রেখে যাচ্ছে। তবে আজ একটি বোমা উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাবড়া থানার পুলিশ। পাশাপাশি কে বা কারা বোমাগুলি রাখছে তা নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের। এলাকায় রয়েছে চাপা উত্তেজনা। জীবন কৃষ্ণ কুন্ডু বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে বাইরে আসি।
এসেই দেখি একটি ব্যাগ। কি আছে সেই ব্যাগে দেখবার জন্য ব্যাগ খুলতেই দেখতে পাই বোমা। ভয়ে কাঠ হয়ে যাই আমি। সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের বাকি লোকজন এসে অবস্থা দেখে পুলিশকে খবর দেন’। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমি, আমার পরিবার, আমার দিদির পরিবার সবাই সক্রিয়ভাবে তৃণমূল করি।
আর সেই কারণেই আমাদের কেউ বা কারা ভয় দেখাচ্ছে’। যদিও এই বোমা রেখে যাওয়া বিরোধী দলের কাজ নাকি দলেরই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি জীবন কৃষ্ণ কুন্ডু। উল্লেখ্য, তৃণমূলের যুবরাজ তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচির আগেই হাবড়া থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা।
অচেনা ব্যক্তিদের দেখে কৌতুহল বসত কিছু লোক এগিয়ে যেতেই দেখেন ব্যাগে রয়েছে তাজা বোমা। সেই সময় সেই ব্যাগ ফেলে রেখেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এর পরই খবর দেওয়া হয় হাবড়া থানার পুলিশকে। দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে ব্যাগ ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সৃষ্টি হয় আতঙ্ক।