আরাবুল ইসলামের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকবেন সশস্ত্র তিনজন কনস্টেবল বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড়ে লাগাতার হিংসার ঘটনায় আরাবুলের নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পর্ব থেকে গণনার দিন পর্যন্ত হিংসায় অনেক রক্ত ঝরেছে ভাঙড়ে। মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। মনোনয়ন পর্বে আরাবুলেরও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর আরাবুল-পুত্র হাকিমুল ইসলামকেও নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লার ওয়াই ক্যাটাগরি থেকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়।
ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফের চেয়ারম্যান নওশাদ সিদ্দিকীও হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী পান। পঞ্চায়েত নির্বাচন মেটার পরেও উত্তপ্ত হয়ে আসছে ভাঙড়। এমনকি পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর বোর্ড গঠন নিয়েও অশান্তি হয় ভাঙড়ে। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল এবং ISF কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ নয়। হয় বোমাবাজিও।
জানা যায়, ভাঙড়ের কাশীপুর থানা এলাকার মাঝেরহাটি গ্রামে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। স্থানীয় আইএসএফ-তৃণমূল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। অভিযোগ, আইএসএফ কর্মী ও সমর্থকদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে ISF কর্মীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর আহত হয় পাঁচজন আইএসএফ কর্মী। আহতদের পরে উদ্ধার করে জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
এবার পিতা পুত্রের বাড়তি নিরাপত্তার দিক জোর দিল জেলা পুলিশ প্রশাসন। জুলাই মাসের শেষেই আরাবুল পুত্র হাকিমুল ইসলামের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। একজন করে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী থাকবেন হাকিমুল ইসলামের সঙ্গে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। এর আগে অবশ্য এপ্রিল মাসে আরাবুল পুত্রকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই রাজনৈতিক হটস্পট ছিল ভাঙড়। মনোনয়ন থেকে ভোট পর্ব অশান্তি বাদ যায়নি কিছুতেই। গণনার দিন রাতে মুহুর্মুহু বোমা পড়ে গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে। একাধিক সভা থেকে ভাঙড়ের অশান্তির জন্য ISFকেই দায়ী করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পালটা রাজ্যের শাসক দলের উপর সমস্ত দোষ চাপিয়েছেন ISF বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। ভোট মিটে যাওয়ার পরেও এখনও চাপা উত্তেজনা বজায় রয়েছে ভাঙড়ের বিভিন্ন এলাকায়।