সামনে ছিল OYO রেস্টহাউসের ব্যবসা। পিছনে ছিল স্যাফরন ইন নামে এক চিটফান্ড। এই চিটফান্ড সাধারণ মানুষকে বোঝাত সেখানে MPFD নামে এক ইনভেস্টমেন্ট প্লান রয়েছে। আর সেখানে কেউ যদি সঞ্চিত অর্থ রাখেন সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি প্রতিদিন ৪-৫ শতাংশ হারে সুদ পাবেন। শুধু তাই নয়, এই সম্পূর্ণ বিষয়টি একটি অ্যাপের মাধ্যমে দেখতে পাবেন আমানতকারীরা।
অভিযোগ এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাজার থেকে লাখ লাখ টাকা তুলেছে এই কোম্পানি মালিক প্রণয় রায়। আগমনকারীদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু, হঠাৎ সেই অ্যাপ থেকে সব টাকা উধাও। এরপরেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে একে একে সকলকে সরানো হয়। এদিকে বারাসত এলাকা থেকে প্রণয় রায় নামে ওই প্রতারক আপাতত পলাতক।
অভিযোগ সে এই মুহুর্তে তার বারাসতের বাড়ি বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। শুধুমাত্র যে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করেছে সে তা নয়, নিজের রেস্টহাউজ OYO তে যে কর্মচারিরা কাজ করেন তাঁদেরও টাকার লোভ দেখিয়ে এই চিটফান্ডে আমনত করতে উৎসাহিত করে প্রণয়।
কর্মীদের দাবি, সর্বস্ব লুঠ করে চম্পট দিয়েছে মালিক। আর যারা চড়া সুদের লোভে টাকা আমানত করেছে তারা আজ পথে বসেছে। ইতিমধ্যে তারা বারাসত থানায়ও অভিযোগ জানিয়েছে। প্রণয় রায় নামে ওই ব্যক্তি তার মোবাইল ফোন সুইচ অফ করে গা ঢাকা দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এক অভিযোগকারী বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল এটা একটা ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। একটি সেমিনার করা হয়েছিল এই নিয়ে। ১৫ দিন আগে অ্যাপের উইথড্রল সিস্টেম বন্ধ করা হয়েছে। প্রণয় রায় এক মাস আগে নিউ টাউনে চলে গেছেন পরিবার সমেত।”
এখানেই শেষ নয়, তিনি দাবি করেন, “প্রণয় রায় বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে জাল আধার কার্ড দেখিয়ে থাকছেন। তিনি এই দেশের বাসিন্দা নন।”