তিনি আরও বলেন, “UGC-র নিয়ম মানতে বাধ্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। হাইকোর্ট যে পরামর্শ দিয়েছে তা লাগু করা এখানের সরকারের দায়িত্ব। স্লোগান দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে গেলে হবে না। যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সেগুলির বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও মানুষের জীবন অত্যন্ত দামি। তাঁর পরিবারের উপর কী প্রভাব পড়বে! সমাজে কী প্রভাব পড়বে! কারও অধিকার নেই এইভাবে তরুণদের জীবন নিয়ে খেলা করার।”
এদিকে ধর্মেন্দ্র প্রধানের মন্তব্যের পালটা সরব হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি সংবাদ মাধ্যমে পালটা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করেছেন। শান্তনু সেন বলেন, “ UGC-র গাইডলাইন মেনে যখন যাদবপুরে CCTV বসাতে যাওয়া হয়েছিল সেই সময় বাম এবং অতি বাম সংগঠনের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়। শুধু তাই এই বিক্ষোভ চলাচালীন শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বেআইনিভাবে মঞ্চ বেঁধে উসকানি দিয়েছেন।”
এদিকে একযোগে রাজ্য এবং কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “UGC কাদের অধীনে। কেন্দ্রের অধীনে। এখানে রাজ্য-কেন্দ্র সকলকে মাথা ঘামাতে হবে। এটা নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। এখানে BJP তৃণমূল রাজনীতি শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গে একটা ফাইভস্টার বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। সেটাও উঠে যাবে আগামীদিনে। সেখানে কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? তা জানতে চাই। উদোর পিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে না চাপিয়ে কেন অপরাধীদের গ্রেফতার করা হল না।”
প্রসঙ্গত, যাদবপুরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এই ঘটনায় র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছে মৃত ছাত্রের পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কী ভাবে মৃত্যু হল তাঁর? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বিভিন্ন মহলে। ক্যাম্পাসে CCTV-র নজরদারি প্রসঙ্গেও একাধিক তত্ত্ব সামনে আসে। এবার রাজ্যে এসে যাদবপুর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীও।