ইয়াসিরের বিরোধী শিবিরে নাম লেখানো নিয়ে আগেই মুখ খুলেছিলেন ফিরহাদ কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁরা ২০১৯ সাল থেকে সেপারেটেড থাকছেন। পাশাপাশি আদালতে তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদ মামলাও চলছে। এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ফিরহাদ হাকিমও।
জামাতার কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে ঠিক কী বলেছেন এই নেতা?
রাজ্য়ের মন্ত্রী ফিরহাদ বলেন, “আমার মনে হয় কংগ্রেস পার্টিটা এবার উঠে যাবে। ফিরহাদ হাকিমের আত্মীয় কি কারও পরিচয় হতে পারে! আমি নিজে আন্দোলন করে উঠে এসেছি। পরজীবী হয়ে কি বেঁচে থাকা যায়?”
প্রকারান্তে তিনি তীব্র কটাক্ষ করেছেন ইয়াসিরকে, তা স্পষ্ট। উল্লেখ্য, শনিবার বিধান ভবনে অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা হাতে তুলে নেন ইয়াসির। হাত শিবিরে নাম লিখিয়ে একদিকে যেমন তিনি রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করেছেন তেমনই শ্বশুর ফিরহাদ হাকিমকেও ধন্যবাদ জানাতে ভোলেননি।
ফিরহাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমার রাজনীতিতে আসা ফিরহাদ হাকিমকে দেখে। আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁকে সম্মান করি এবং করব। কিন্তু, বর্তমানে আমরা দুটি আলাদা রাজনৈতিক দলের সদস্য।”
প্রিয়দর্শিনী ইয়াসিরের কংগ্রেসে যোগদান প্রসঙ্গে বলেন, “২০১৯ সাল থেকে আমরা আলাদা। আমরা একসঙ্গে থাকি না। কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ও নিয়েছে তা আমার জানা ছিল না।”
এখানেই শেষ নয়, ফিরহাদ কন্যা আরও বলেন, “আমি মানুষের সেবা করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। তিনিও এক সময় তৃণমূলেরই নেতা ছিলেন। হঠাৎ করে একদিন শুনতে পেলাম দল ছেড়েছেন। অনেকেই তৃণমূল, কংগ্রেস বা অন্য দলে যোগদান করেন। এর মধ্যে অস্বাভাবিক কোনও বিষয় নেই।”
উল্লেখ্য, প্রিয়দর্শিনী মহিলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্বও সামলাচ্ছেন। এদিকে কংগ্রেসে যোগদান করার পর ইয়াসির হায়দর বলেন, “আমি সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য রাজনীতিতে এসেছি। এই দলে সেই সুযোগ পাব বলে মনে হচ্ছে। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, দলীয় নেতৃত্ব যেমন নির্দেশ দেবে সেই মোতাবেক কাজ করব।” এদিকে ফিরহাদ জামাতার কংগ্রেসে যোগদান নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে।