জানা গিয়েছে, রবিবার সাত সকালেই রঘুনাথগঞ্জের লক্ষীজোলায় বন্ধ আইসিডিএস সেন্টারে ঘটে যায় বোমা বিস্ফোরণ। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতায় আইসিডিএস সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। আইসিডিএস সেন্টারটি বন্ধ থাকায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। যদিও আইসিডিএস সেন্টারটির মূল ভবনটি বন্ধ রেখে বাইরে শিশুদের ক্লাস হয়। এদিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণটি ঘটে। কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। আশপাশের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন গোটা এলাকাটি ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে এবং সেন্টারের ছাদ উড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরণ এই প্রথম নয়। বগিত কয়ের মাসে বারেবারেই বোমা বিস্ফোরণের সাক্ষী থেকেছে নবাবী জেল। গত জুলাই মাসে গ্রামের রাস্তায় খেলে বেড়ানোর সময় বোমা বিস্ফোরণে মারাত্মক ভাবে জখম হয় ৩ জন শিশু। ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদে দৌলতাবাদ থানার গুরুদাসপুর গ্রামে। আহত ওই ৩ শিশুই একই গ্রামের বাসিন্দা। আহত শিশুদের পরিবার সদস্যরা জানান, দুপুরে গ্রাম থেকে অল্প দূরত্বের রাস্তায় একটি সাঁকোর নিচে সকেট বোমা কুড়িয়ে পায় ওই শিশুরা। সঠিক বুঝতে না পেরে সেটিকে নিয়ে তারা খেলা শুরু করে। ফলে সেই বোমা ফেটে যায়। বোমার আঘাতে গুরুতর ভাবে আহত হয় ৬ থেকে ৮ বছর বয়সী ওই ৩ জন শিশু। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় মানুষজন এবং পরিবার সদস্যরা তাদের উদ্ধারের পর ভর্তি করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
তার ঠিক আগের মাসে ওই জেলাতেই বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় একজনের। ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায়। অভিযোগ, বেলডাঙায় পাটের জমিতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। তখনই সেই বোমা ফেটে গুরুতর জখম হন আলিম বিশ্বাস নামের এক যুবক। তাঁকে তড়িঘড়ি বেলডাঙা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। সেই সময় রাজ্য়ে ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহ। ঘটনায় কংগ্রেস অভিযোগ করে, নির্বাচনে অশান্তি করতে তৃণমূলের লোকজনই বোমা বাঁধার কাজ করছিল। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। পালটা শাসদক দলের দাবি ছিল, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলবে।