স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, শনিবার রাত থেকেই বাঘ জাতীয় কোনও একটি প্রাণী ঘোরাফেরা করছে। মাঝেমধ্যে নাকি গর্জনও শোনা যাচ্ছে প্রাণীটির। থাবার ছাপও দেখা গিয়েছে কাদায়। ঘটনার জেরে রাত থেকেই তীব্র আতঙ্ক ছাড়ায় গোটা এলাকায়। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বনদফতরে। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বনদফতরের কর্মীরা। রাতভর চলে খোঁজাখুঁজি। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণী খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে বনদফতর অবশ্য প্রাণীটিকে বাঘ বলে মানতে নারাজ। এই প্রসঙ্গে নামখানা ফরেস্ট অফিসের বিট অফিসার নিখিল কুমার ভুঁইঞা বলেন, ‘এই এলাকায় বাঘ আসার কোনও বাস্তবতা নেই। কারণ বাঘ যে এলাকায় তাকে তা এই জায়গা থেকে অনেকটাই দূর। যে ছাপ দেখা গিয়েছে, তাতে প্রাণীটিকে বাঘরোল বলে মনে হচ্ছে. অথবা বড় বিড়াল বা মেছো বিড়াল হতে পারে। তাই এতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। গ্রামবাসীদের বলব, আতঙ্কের মধ্যে থাকবেন না।’
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় বাঘের হামলা ও বাঘের আতঙ্ক নতুন কিছু নয়। মাঝেমধ্যেই সেখানে বাঘের হামলায়া মৎস্যজীবীদের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। গত ফেব্রুয়ারি মাসেও বাঘের হামলায় হয় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির ঘটনাটি ঘটে সুন্দরবনের বাগনা রেঞ্জ অফিসের ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গলে। জানা যায়, কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় বাঘের হামলায় মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোসাবা এলাকায়। নৌকা থেকে নেমে কাঁকড়া ধরার সময়ই জঙ্গল থেকে একটি বাঘ বেরিয়ে ওই ব্যক্তির উপর হামলা চালায় বলে খবর। মৃত ওই ব্যক্তির নাম ননী গোপাল মন্ডল। তাঁর বাড়ি বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা ব্লকের সাতজেলিয়ায় এলাকায়।
গত জুলাই মাসেও ঘটে একই ধরণের ঘটনা। সুন্দরবনের জঙ্গলে কাঁকড়া ধরতে গিয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয় আরও এক ব্যক্তির। মৃতের নাম অনেশ্বর ফকির। জানা যায়, স্ত্রীর সঙ্গে কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে কাঁকড়া ধরার পর আর স্ত্রীর সঙ্গে ফেরা হল না। তার আগেই তাঁকে গভীর জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় বাঘ। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।