সোমবার বিকেলে রানাঘাটে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিনিধি দল সহ রাজন্যা হালদার। তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এইভাবে নিয়মিত র্যাগিং চলে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিয়নের দায়িত্বে রয়েছে বাম সমর্থিত সংগঠন। তারা যে এত নৃশংস অত্যাচারী সেটা কল্পনা করা যায় না।’
নদিয়ার রানাঘাটে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসে বাম ছাত্র সংগঠনকে চূড়ান্ত আক্রমণ করলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেত্রী রাজন্যা হালদার। এদিন তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য সহ চার প্রতিনিধিদল দেখা করতে আসেন রানাঘাটে মৃত ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে।
দীর্ঘক্ষণ তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজন্যা হালদার। প্রথমে ছাত্রের মৃত্যু নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেন। এরপরই তিনি পুরো দায়ভার বাম সমর্থিত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তুলে ধরেন। রাজন্যা বলেন, ‘বাম ও অতি দাম সমর্থকরা এত নৃশংস হতে পারে সেটা আমরা জানতাম না। সেই কারণে তারা সিসিটিভি পর্যন্ত লাগাতে দিচ্ছে না। এত বড় স্পর্ধা তাঁদের।’
ইউনিয়নের দায়িত্ব থাকা সদস্যরা যে অমানবিকতার কাজকর্ম করে সেগুলো যাতে সবার নজরে না আসে সেই কারণেই তারা বাধা দিচ্ছে সিসিটিভি লাগাতে। তবে রাজন্যা বলেন, ‘তবে আমাদের প্রতিবাদ চলবে, যাতে র্যাগিং বন্ধ করা যায়, সেই আন্দোলন আমরা চালিয়ে যাব।’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ইউনিটের দায়িত্ব পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষকে আগামী ১০ দিনের মধ্যেই সিসিটিভি লাগানোর ব্যাপারে আর্জি জানায় রাজন্যা হালদার সহ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। যত দ্রুত সম্ভব গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি লাগানোর ব্যাপারে আবেদন জানানো হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানায়নি।
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার প্রমাণ জোগাড়ের জন্যে তদন্ত চালানো হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে র্যাগিং এর যোগাযোগ আছে বলে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে একাধিক মহল। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা র্যাগিং হয় বলে মত প্রকাশ করেছেন।