ডিএসএফের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের বেশিরভাগ সদস্যই এই প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা এবং র্যাগিং সংস্কৃতির বিরুদ্ধে। তবে র্যাগিংয়ের জন্য যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে যখন অনেকে সরব হয়েছেন, তখন কেউ কেউ আবার এই বক্তব্যকে থামিয়ে দিয়েছেন। ডিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, কারা র্যাগিংকে চাপা দিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখতে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
ওই বিবৃতিতে তারা আরও জানিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের কয়েকজন পদাধিকারী পদত্যাগ করেছেন। এই পদাধিকারীদের সঙ্গে ডিএসএফ কোনওরকম রাজনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ নেই। ঘটনা হলো, বেপাত্তা অরিত্র মজুমদার (আলু)-সহ ফেটসুর আরও কয়েকজন পদাধিকারী কার্যত দায় স্বীকার করে গত ১৪ অগস্ট পদত্যাগ করেছেন।
অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সির ছাত্র সংগঠন ইন্ডিপেন্ডেন্টস কনসোলিডেশন বা আইসিও একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, ‘আইসি ঘোষণা করছে, সমস্ত ধরনের সংগ্রামী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্র (কালেক্টিভ, পিডিএসএফ, আরএসএফ, আইএসইউ, অনুশীলন পত্রিকা, ডিওয়াইএসএ ইত্যাদি)-এর থেকে আইসি সম দূরত্বের নীতি গ্রহণ করছে ও তা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। উক্ত সংগঠন, মঞ্চ, গোষ্ঠীগুলির মধ্যে যে ছাত্রছাত্রীরা কাজ করেন, তাঁরা আইসি মঞ্চের সাধারণ সভার সদস্য হিসেবে স্বাগত নন।’ এ ব্যাপারে অবশ্য কালেক্টিভের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। তাঁদের তরফেও পাল্টা কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি।