রবিবার উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় একটি দলীয় সভায় উপস্থিত হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কাশ্মীর ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে,আর যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তো কোন ছার! বুটের লাথি মেরে জেএনইউ ঠান্ডা করে দেওয়া হয়েছে।’ দিলীপ আরও বলেন, পুলিশ কী জন্য আছে? শুধু ঘুষ নেওয়ার জন্য? কেন পুলিশ লেজ গুটিয়ে বসে আছে? বাবা মা স্বপ্ন নিয়ে ছেলেমেয়েকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছেন। সেখানে এমন ঘটনা!’ বিজেপি নেতার আক্রমণ, ‘যেখানে যেখানে সন্ত্রাসবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে, আমরা বুট দিয়ে তার মাথা ভেঙে দিয়েছি। যান, জেএনইউ-তে যান। ওখানেও প্রকাশ্যে মদ-গাঁজা খাওয়া হত। আজাদি স্লোগান তোলা হত। ওদের সবাইকে আজাদ করে দেওয়া হয়েছে। এখন ওখানে লেনিন নেই, স্ট্যালিন নেই, বিবেকানন্দের মূর্তি দাঁড়িয়ে আছে। যেদিন এখানকার এই নপুংসুক সরকার যাবে, সেদিন যাদবপুরে আমরা বিবেকানন্দের স্ট্যাচু তৈরি করব। জয় শ্রীরাম স্লোগান উঠবে।’
পালটা প্রতিক্রিয়া তৃণমূল ও সিপিএম-এর
এর প্রেক্ষিতে তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘দিলীপ ঘোষ এখন দলের মধ্যে কোণঠাসা। সেক্ষেত্রে হৈহৈ করে কিছু মন্তব্য করে আবার একটু সংবাদমাধ্যমে ভেসে থাকলে বাংলার মানুষ মনে রাখবে, দিলীপ ঘোষ বলে একজন নেতা ছিলেন-আছেন। তাই জন্য রাজ্য সরকারকে এরকম অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেছেন। একইসঙ্গে ওঁর কথার মধ্যে বেশকিছু স্বীকারোক্তি আছে, যে মোদী সরকার কী ভাবে চলছে! তিনি বলেছেন জেএনইউ-কে বুটের লাথি দিয়ে আমরা সিধে করেছি। এটা একটা সাংঘাতিক স্বীকারোক্তি। সেখানে তো বামপন্থীদের আস্তানা ছিল। সেখানে ঐশীকে (ঐশী ঘোষ) মারধর করা হয়, আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি। নপুংশকের বদলে এটা কি বীরপুঙ্গব? একজন মেয়ের ওপর আক্রমণ করা, শ্লীলতাহানি করা, এটাই কি দিলীববাবুদের বীরত্বের চিহ্ন?’
প্রায় একই কথা শোনা যায় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর মুখে। তিনি বলেন, ‘দিলীপ ঘোষকে অনেকদিন সংবাদমাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছিল না, তাই তিনি বিস্ফোরক মনোভাব থেকে কিছু কথা বলেছেন, যাতে সংবাদমাধ্যমে জায়গা হয়। ওঁর কথার মধ্যে দিয়ে আরএসএস-এর মনোভাবটা স্পষ্ট হচ্ছে। এসবের কোনও সুযোগ নেই। হঠাৎ যাদবপুরে নিয়ে ওঁর মাথায় ঢুকেছে। বোঝা যাচ্ছে ব়্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে ওরা নয়, আসলে যাদবপুরের ওপরে রাগ, মুক্তচিন্তার ওপরে রাগ।’