জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে হঠাৎই ধোঁয়ৈ বের হতে দেখা যাও ওই কারখানা থেকে। ধীরে ধীরে ধোঁয়ার পরিমান বাড়তে থাকে। কারখানার ভিতরে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। বিস্কুট কারখানার পাশেই একটি পেট্রোল পাম্প থাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। দ্রুত খবর যায় দমকলে, খবর পেয়েই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। তৎপরতার সঙ্গে শুরু হয় আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজও।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ভিড় জমান উৎসাহী জনতা। তবে নিরাপত্তার জন্য কাউকেই কাছে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। পাশেই পেট্রোল পাম্প থাকায়, আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। তবে কী থেকে এই আগুন, সেই বিষয়ে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে আগুন নিয়ন্ত্রণের আনার পর বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দমকল। বিল্ডিংয়ের ইলেক্ট্রিসিটি সিস্টেম থেকে শুরু করে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সবই খতিয়ে দেখা হবে বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে মাঝেমধ্যেই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া যায়। গত মে মাসে হুগলির ডানকুনিতে একটি প্লাস্টিকের কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগে। ওই কারখানায় প্লাস্টিকের যাবতীয় জিনিসপত্র তৈরি হত বলে জানা যায়। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়। আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আগুন দেখতে পেয়ে দমকলে খবর দেন স্থানীয় মানুষজন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকেও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ডানকুনি থানার পুলিশ এবং দমকল বাহিনী। বেশ কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আশে আগুন। তার আগে এপ্রিল মাসে শহর কলকাতার তপসিয়ায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তপসিয়ায় একটি রাসায়নিকের কারখানায় আগুন লেগে যায়। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে এলাকাটি ঘন জনবসতিপূর্ণ হওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হয় দমকলকর্মীদের।