এদিকে ট্রাফিক পুলিশের তরফে ভবিষ্যতের উন্নয়ন হিসাবে RVNL-কে বর্তমান মেট্রোপলিটন সেতুর ডান দিকে আরও একটি লোহার সেতু নির্মাণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। সেই মতো লোহার সেতুর কাজ শুরু করেছে RVNL, যা ভবিষ্যতে EM বাইপাসে দুই চাকার যান এবং পথচারীদের চলাচলকে আরও সহজ করবে।
অন্যদিকে মেট্রোর এই প্রকল্পেই নিক্কোপার্ক এলাকায় ৩৭৭ থেকে ৩৮২ নম্বর পিয়ারের মধ্যে সেগমেন্ট লঞ্চিংয়ের কাজ শুরু করেছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড। জানা গিয়েছে, এর আগে কিছু শর্ত-সহ ট্রাফিক ডাইভারশানের এনওসি দেওয়া হয়েছিল। যেহেতু এই এলাকার এক দিকে খাল, অপর দিকে নিক্কোপার্ক, তাই গ্রাউন্ড সাপোর্টিং সিস্টেম তৈরির জন্য রাস্তার মাঝে থাকা আড়াই মিটার চওড়া বাগান, বাতিস্তম্ভ ও আরও কিছু সৌন্দর্যায়নের জিনিস ভেঙে ফেলতে হয়। পরিবর্তে অবশ্য বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। এরপর গত মার্চ মাসে বিধাননগরের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন আরভএনএল-এর কর্তারা। তারপরেই ট্রাফিক ডাইভারশানের জন্য এনওসি দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, ওই জায়গায় ভায়াডাক্ট নির্মাণের জন্য সেগমেন্ট লঞ্চিং কাজ শুরু করতে পিয়ার নম্বর ৩৭৭ থেকে ৩৮২ পর্যন্ত রাস্তার মাঝখানে ১০.৫ মিটার প্রসারণের প্রয়োজন। আর সেই জন্যই এই ডাইভারশনটি প্রয়োজন। এছাড়া ট্রাফিক বিভাগের অনুরোধে জনসাধারণের সুবিধার জন্য নিক্কো পার্কের কাছে পিয়ার নম্বরে ৩৭৪-এর কাছে একটি বাস স্ট্যান্ডও তৈরি করে দিয়েছে আরভিএনএল। নলবন স্টেশনে যাওয়ার জন্য ভায়াডাক্টের নির্মাণের এই কাজ আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
