তারাপীঠের মা তারার গর্ভগৃহ সংস্কারের কাজের জন্য মা তারার মূর্তিকে পাশের শিব মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহ ভৈরবের মন্দিরে থাকবে মা আদি ও তারা মায়ের মূর্তি। দীর্ঘদিন ধরে হাজার হাজার ভক্ত এই মন্দিরে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরের সংস্কার করা হয়নি। সেই কারণে মন্দির সংস্কারের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গর্ভগৃহে চলবে সংস্কারের কাজ। একই সঙ্গে মন্দিদের দেওয়ালে পড়বে রঙের প্রলেপ।
এ প্রসঙ্গে তারপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘প্রায় পাঁচ বছর ধরে মা তারার মন্দিরের কোনওকম সংস্কার হয়নি। করোনার সঙ্গে সংস্কারের কাজও করা যায়নি। হাজারে হাজারে ভক্ত প্রতিদিন মন্দিরে আসেন। সেই জন্য মা তারার গর্ভগৃহ বন্ধ করে মন্দির সংস্কার করা কোনভাবেই সম্ভব হয়ে উঠছিল না। কিন্তু সম্প্রতি রেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে বেশ কিছু ট্রেন বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়েছে। যেহেতু অধিকাংশ ভক্ত ট্রেনে যাতায়াত করেন, তাই এই সময় তাঁরা আসতে পারবেন না। সেই কারণে জরুরি ভিত্তিতে এই সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী কয়েকদিন এই সংস্কারের কাজ চলবে। গর্ভগৃহে মার্বেল বসানোর পাশাপাশি মন্দির রং করা ও সংস্কারের কাজ করা হবে। আর সেই কারণেই পাশের একটি শিব মন্দিরের মা তারার বিগ্রহ স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এই শিব মন্দিরে আগেও মা তারার বিগ্রহ স্থানান্তরিত করা করে সংস্কারের কাজ করা যেত। কিন্তু মন্দির ছোটো হওয়ায় ভক্তদের সমাগম হলে পরিস্থিতি কঠিন হতো। সেই কারণেই এখন এই কাজের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তারপীঠ রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পীঠস্থান। প্রত্যেক দিনের নিত্যপুজোর পাশাপাশি মঙ্গল ও শনিবার বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। সামনে কৌশিকি অমাবস্যার বিশেষ তিথি। প্রচুর পরিমাণ ভক্ত তারাপীঠে ভিড় করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগেই মন্দির সংস্কারের কাজ সেরে ফেলতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। এখন কবে মন্দির সংস্কারের কাজ শেষ হয় সেটাই দেখার।