যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা শহর। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া-প্রাক্তনীদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেড়া চলছে। বিভিন্ন মহল থেকে ক্যাম্পাসে নজরদারির দাবি উঠছে, সিসিটিভি বসানো নিয়ে জোরাল সওয়াল করছেন কেউ কেউ। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী হিসেবে কী ভাবছেন গীতশ্রী?
এই সময় ডিজিটালের প্রশ্নের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রাক্তনী’ গীতশ্রী বলেন, ‘আমি এখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া নই। অন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছি। বিগত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা থেকে জানি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সবসময়ই নজরে থাকে। হোক কলরবের সময়ে যেমন সমর্থন ছিল, তেমন অনকেই আমাদের বিরোধিতা করেছিলেন। এখন বন্ধুবান্ধবের শুনে বা সংবাদমাধ্যমে দেখেছি যাদবপুরে এরম কোনও একটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় অধিকাংশ পড়ুয়ারা র্যাগিংকে সমর্থন করে না। এটা যাদবপুরের কালচার নয়। কোনও একটি ঘটনা কখনই একটা গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি হতে পারে না।’
বাংলা নিয়ে গবেষণা করা গীতশ্রী আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে একসঙ্গে যাদবপুরকে বাঁচাতে হবে। রাজ্য বা কেন্দ্রের যে পরিমাণ অনুদান দেওয়ার কথা, বিশ্ববিদ্যালয়কে তা দেয় না। আমি যতদূর জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বকেয়া টাকা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বৃদ্ধির জন্য অর্থের প্রয়োজন। যারা এখন সরকারে রয়েছেন তারা অন্যদিকে মোড় ঘোরানোর চেষ্টা করছেন। পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হয় সেটা না করে যাদবপুর যেভাবে বঞ্চিত হচ্ছে, আমাদের সেদিকে নজর দেওয়া দরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমানে আমার বন্ধুরা নিরাপত্তার বিভিন্ন বন্দোবস্তের দাবি কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তা হয়তো করতে পারছে না।’
UGC-র গাইডলাইন মেনে বিভিন্ন মহল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানোর দাবি উঠেছে। কিন্তু ‘নজরদারি’-র অভিযোগ তুলে পড়ুয়াদের একাংশ এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। পড়ুয়াদের এই দাবি আদৌ সঙ্গত? গীতশ্রী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগেই সিসিটিভি রয়েছে। যাঁরা ক্যাম্পাসে অসামাজিক করেন তাঁদের কাউন্সেলিং প্রয়োজন। কিন্তু একজন মনোবিদ রাখার টাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় সিসিটিভি লাগাবে সেটা তাঁদের বিষয়। আমার মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় সিসিটিভি বসানো নিয়ে পড়ুয়াদের একাংশ বিরোধিতা করলেও বড় অংশের ছাত্রছাত্রীদের এটায় কোনও আপত্তি নেই। থাকার কথাও নয়।’