PG Doctor : বাগদা বধূহত্যা, ডাক্তারের বাবা-ভাইকেও গ্রেফতার – doctor father and brother arrested by police in bagda murder incident


এই সময়, বাগদা: বাবা পুলিশকে বলেছিলেন ডাক্তার ছেলে দোতলা থেকে নেমে এসে বলেছিল বৌকে খুন করেছে। সোমবার স্ত্রীকে খুনে ধৃত অরিন্দম বালার বাবা বিবেকানন্দ বালাকেও গ্রেপ্তার করল পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অরিন্দমের ভাই অনির্বাণকেও। নিহত রত্নতমার পরিবার বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনার পরেই অরিন্দমের বাবা ও ভাইকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এ দিন ধৃতদের বনগাঁ আদালতে তোলা হলে বিচারক পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

Uttar 24 Parganas News : ঘরেই স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ, পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকের কাণ্ডে চাঞ্চল্য
তদন্তে উঠে এসেছে বাগদার হেলেঞ্চার অরিন্দম বালার সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ হয়েছিল দত্তপুকুর নীলগঞ্জের বাসিন্দা রত্নতমা দে-র। মাত্র চার মাসের আলাপেই রত্নতমাকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন অরিন্দম। এত অল্পদিনের পরিচয়ে বিয়েতে প্রথমে নিমরাজিই ছিলেন রত্নতমা। শেষে অরিন্দমের জেদাজেদিতে রাজি হন। আপত্তি জানায়নি পরিবারও। রত্নতমার বাবা রাজীব দে বিজ্ঞানী। তিনি নীলগঞ্জের জুট গবেষণা কেন্দ্রের প্রিন্সিপাল। মা মনীষা গৃহবধূ। রত্নতমা ছাড়াও তাঁদের দশ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। রত্নতমা মেদিনীপুর হোমিয়োপ্যাথি কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়া শেষ করে প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন। অন্য দিকে, অরন্দিম চেয়েছিলেন দিল্লি এইমস থেকে এমডি করতে। এইমসে সুযোগ পাননি। সুযোগটা পান পিজি হাসপাতালে।

Bankura News Today : নৃশংস! বউমার গলার নলি কেটে দেহ গোবর গ্যাসের ট্যাঙ্কে ফেলল শ্বশুর-শাশুড়ি
রত্নতমার বাবা রাজীব দে-র কথায়, ডাক্তার পাত্র পেয়ে তাঁরা খুশিই হয়েছিলেন। কিন্তু সেই পাত্রই যে বিয়ের পর এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে ভাবতে পারেননি। রাজীবের ব্যারাকপুরে একটি ফ্ল্যাট আছে। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সেই ফ্ল্যাটটি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য শ্বশুরকে চাপ দিতে থাকেন অরিন্দম। অভিযোগ, হেলেঞ্চার বাড়িতে অরিন্দমের বাবা বিবেকানন্দ বৌমাকে খোঁটা দিয়ে বলতেন, ‘বাবাকে বলে একটা খেলনা গাড়িও তো কিনে দিতে বলতে পারো।’

Delhi Crime : বিয়ের পথে কাঁটা প্রেমিকের ছেলে! রাগে চরম পদক্ষেপ প্রেমিকার
এ দিন রত্নতমার মা মনীষা দে বলেন, ‘কখনও ফ্ল্যাট, কখনও গাড়ি কখনও নগদ টাকা- অরিন্দমের চাহিদার শেষ ছিল না। কিছু না পেয়ে আমার মেয়েটার গলার নলি কেটে মেরেই ফেলল।’ পরিবারের দাবি, শুধু শ্বশুর-শাশুড়ি নয়, রত্নতমাও এই অন্যায্য দাবি মানতে রাজি ছিলেন না বলে অরিন্দমের রাগ জমছিল। উল্লেখ্য, বরের সঙ্গে অশান্তির জেরে দীর্ঘদিন হেলেঞ্চার শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে মা-বাবার কাছে নীলগঞ্জে থাকছিলেন রত্নতমা।

Mahesh Bhatt And Pooja Bhatt : ‘বাবা আমাকেই ফিরে দেখেনি…’, মনীষা-মহেশের চুমু প্রসঙ্গে মুখ খুললেন পূজা ভট্ট
শনিবার অরিন্দম এসে রত্নতমাকে হেলেঞ্চায় নিয়ে যান। মনীষাও মেয়ের সঙ্গে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মনীষা পুলিশকে জানিয়েছেন অরিন্দমই তাঁকে যেতে দেননি। বলেছিলেন, ‘আপনাকে কেন আসতে হবে? আমি কি আপনার মেয়েকে মেরে ফেলব?’ সোমবার বাড়িতে বসে কাঁদতে কাঁদতে মনীষা বলে ওঠেন, ‘কেন যে সঙ্গে গেলাম না! তা হলে এ ভাবে মেয়েটাকে মরতে হতো না।’ উল্লেখ্য, নিজের বেডরুমে স্ত্রীর গলার নলি কেটে খুনের পর রবিবার সকালে বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অরিন্দম বালা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *