যাওয়ার পথে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ আশ্রম মোড়ে অন্য একটি মোটর ভ্যান স্কুলের ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়ার মোটর ভ্যানে সজোরে ধাক্কা মারে। আর এই ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন শিশু পড়ুয়া। স্থানীয় মানুষজন আহতদের উদ্ধার করে নিমপীঠ রামকৃষ্ণ গ্রামীন হাসপাতালে ভর্তি করায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করার পর কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে দুজন শিশু ভর্তি আছে এখানে। ভর্তি থাকা দুজন শিশু হল জুলাইকা পাইক (১২) ও রোহানা শেখ (৬)। দুজনেরই বাড়ি বকুলতলা থানার সাহাজাদাপুর পঞ্চায়েতের হানারবাটি এলাকায়। গুরুতর আহত দুজনকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গুরুতর আহত দুজন হল মুসাটিকা সরদার (৭)। বাড়ি বকুলতলা থানার পশ্চিম রঘুনাথপুর ও সারুমা লস্কর (৫), বাড়ি বকুলতলা থানার হানারবাটি বাড়ি এলাকায়। গুরুতর আহতদের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে।
ঘটনার খবর পেয়ে বকুলতলা থানার পুলিশ মোটর ভ্যান দুটিকে আটক করেছে এবং মোটর ভ্যান চালককেও আটক করেছে। আর এই ঘটনায় স্কুল ছাত্রীদের নিরাপত্তার ঘাটতি আবার সামনে এসে গেল। সমস্ত ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বকুলতলা থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘ধাক্কা মারা মোটর ভ্যানটি যথেষ্ট জোরে আসছিল। এসেই নিয়ন্ত্রণ না রাখতে পেরে ওই ছাত্রীদের ভ্যানে ধাক্কা মারে। আর এর ফলে ভিতর থেকে কিছু ছাত্রী বাইরে পড়ে যায়। যার ফলে তাঁদের গুরুতর আঘাত লাগে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে উদ্ধার করি, আর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। খবর পেয়ে পরে পুলিশ আসে।’
ওই গাড়িতে থাকা এক স্কুল ছাত্রী বলে, ‘আমরা রোজ এই ভ্যানে করেই যাতায়াত করি। কোনোদিন কোনও দুর্ঘটনা হয়নি। এরই প্রথম এরকম ঘটনা ঘটল।’ এই ঘটনার পরেই আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছেন ছাত্রীদের অভিভাবকরা। কোন মাধ্যমে স্কুলে পাঠাতে বাচ্চারা নিরাপদে থাকবে, সেটাই ভাবছেন সকলে।