DA Movement In West Bengal Today : ‘সংকট কেবল প্রাপ্য দেওয়ার সময়!’ পুজোয় অনুদান বৃদ্ধিতে রাজ্যকে নিশানা DA আন্দোলনকারীদের – da protesters reaction on west bengal government aid increase to durga puja committee


বকেয়া এবং কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন করে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একটা বড় অংশ। বারেবারেই বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। কিন্তু তারপরেও দাবি পূরণ হয়নি। এরই মাঝে ফের পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদানের পরিমান বাড়াল রাজ্য সরকার। আর সরকারের এই ঘোষণার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন ডিএ আন্দোলনকারীর।

গতবার পুজো কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার সেই অনুদানের পরিমান আরও বাড়ান হয়েছে। মঙ্গলবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে অনুদানের পরিমান বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করেছে। একইসঙ্গে বিদ্যুতের বিলও মকুব করা হয়েছে অনেকটাই। সেক্ষেত্রে বিলের ১/৪ দিতে হবে কমিটিগুলিকে।

মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে কিঙ্কর অধিকারী ফেসবুকে লেখেন, ‘সংকট কেবল নিয়োগ এবং কর্মচারীদের প্রাপ্য অর্থ দেওয়া সময়! জনগণের অর্থ নিয়ে ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার করে দান কেবল দলীয় স্বার্থে!?’ ডিএ-র দাবিতে বুধবার বিধানসভা অভিযানেও নামে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


অন্যদিকে ইউনিটি ফোরামের তরফে দেবপ্রসাদ হালদার বলেন, ‘ডিএ পাওয়া আর পুজো মণ্ডপে টাকা দেওয়া এক জিনিস নয়। এটা সরকারের স্ট্র্যাটেজি। ডিএ মামলাকারী হিসেবে এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দিচ্ছে, ততক্ষণ আমাদের ডিএ-টা দিতে পারছে না। যেটা আমাদের প্রাপ্য সেটা পেতে গেলে, সুপ্রিম কোর্টের ফয়সালার পরে পাওয়া যাবে।’ তবে ডিএ না মেটাতে পারার কারণ হিসেবে রাজ্য সরকার যে কোষাগার-সংকটের যুক্তি দিচ্ছে, সেটিও মামতে নারাজ দেবপ্রসাদবাবু। তিনি বলেন, ‘আর্থিক সংকট, এটা হচ্ছে বানানো, মিথ্যাকথা। অর্থ সবসময় রয়েছে। কিন্তু কর্মচারীদের শোষণ-বঞ্চনা, করে চলেছে এই সরকার। দেওয়ার সদিচ্ছা নেই, সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।’

Countdown Of Durga Puja 2023 : পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে ২২ অগাস্ট বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর, এবারেও নতুন কোনও চমক?
প্রসঙ্গত, রাজ্যের কর্মীদের বকেয়া ডিএ না দিতে পারার কারণ হিসেবে এর আগে কেন্দ্রকে নিশান করতে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে মেদিনীপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোথা থেকে এত টাকা পাব? কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। বঞ্চনা করছে, মিথ্যা বলছে। আমি তো ম্যাজিশিয়ান নই।’ আর চলতি মাসেই ঝাড়গ্রামের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন এলেই কর্মচারীদের ডিএ বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি ও রাজ্য সরকারের চাকরি মধ্যে তফাৎ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পলিসি আলাদ, আর রাজ্য সরকারের চাকরির নীতি আলাদা। কেন্দ্রীয় সরকারে কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে, আর আমাদের ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *