পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর আক্রান্ত মহিলাকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় বুধবার সকালে বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত মহিলার বাবা সুরাজ মোল্লা ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আক্রান্ত মহিলার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক বছর আগে প্রেম করে রাজীবের সঙ্গে বিয়ে হয় আক্রান্ত মহিলার। পাশাপাশি গ্রামে দুজনের বাড়ি৷ মঙ্গলবার বিকেলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে নিজের কাছে নিয়ে আসেন আক্রান্ত মহিলার মা আরজিনা খাতুন। শরীর খারাপ থাকায় বাপের বাড়িতে এসে ঘুমিয়ে পড়েছিল ওই মহিলা।
পরিরার সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত নটা নাগাদ রাজীব শ্বশুরবাড়িতে যায়। শ্বশুরবাড়িতে ঢুকেই সে তাঁর স্ত্রীয়ের খোঁজ করে। তারপর স্ত্রীরে ঘরে গিয়ে তাঁর থেকে জল চায়। জল খাওয়ার পরেই স্ত্রীয়ের ঠোঁট কামড়ে ধরে অভিযুক্ত রাজীব৷ ঠোঁটের বেশ খানিকটা অংশ ছিঁড়ে নেয়। আক্রান্ত মহিলার চিৎকার তাঁর মা সেই ঘরে ছুটে আসেন। বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারধর করে রাজীব, এমনটাই অভিযোগ।
চিৎকার চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে জড়ো হলে শ্বশুরবাড়ি থেকে চম্পট দেয় অভিযুক্ত রাজীব। আক্রান্ত মহিলা এখনও ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জামাইয়ের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত মহিলার বাবা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আক্রান্ত মহিলা মা বলেন, ‘মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে জামাই আমাদের বাড়িয়ে এসেছিল। হঠাৎ করে মেয়ের ঠোঁট কামড়ে ধরে এবং মাংস ছিঁড়ে নেয়। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। কেন সে এমন ঘটনা ঘটাল, আমরা জানি না।’
ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘বাসন্তী থানা এলাকায় এমনটি একটি ঘটনা ঘটেছে বলে শুনলাম। থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মেয়ের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।’