এই বছর তিনি মোট ১০ টি থিমের মণ্ডপের অর্ডার পেয়েছেন। যার মধ্যে কলকাতার ত্রিধারা, সুরুচি সংঘ যেমন আছে তেমনি উত্তরবঙ্গের ফালাকাটা ও শিলিগুড়িতেও থাকছে থিমের মণ্ডপ। বাংলার অন্যতম পটচিত্র মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলার জন্য কলকাতা আর্ট কলেজের পড়ুয়ারা কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শিল্পী ও কর্মীদের নিয়ে শেষ মুহুর্তের কাজ চলছে জোর কদমে। কাজের সঙ্গে প্রায় ২৫০ জন ছেলে মেয়ে যুক্ত রয়েছেন। এই কাজের সঙ্গে যুক্ত থেকে এলাকার ছেলে মেয়েরা মাসে প্রায় ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা উপার্জন করে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
তাদের তৈরি মণ্ডপ দেখতে যখন লাখ লাখ মানুষ ভিড় জমান তখন শিল্পী থেকে কর্মীদের ভীষণ ভালো লাগে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। এই বিষয়ে গৌরাঙ্গ কুইল্যা বলেন, ‘পুজোর আসতে আর বেশি দেরি নেই। জোর কদমে চলছে কাজ। এবার আমাদের হাতে প্রায় ১০ টি মণ্ডপের কাজ চলছে। আরও কিছু আবেদন এসেছিল। কিন্তু সময়ের অভাবে ও কর্মীর অভাবে সেগুলি করা যায়নি’। এক সময় পুজো প্যান্ডেল মানে ছিল বাঁশ ও রঙিন কাপড়ের তৈরি। ধীরে ধীরে সেই বাঁশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে থার্মোকল, চট, প্লাস্টিক, কাঠ, পাট প্লাস্টার অফ প্যারিস, সিমেন্ট আরও কত রকমারি সামগ্রী।
কলকাতার হেভিওয়েট পুজো প্যান্ডেলগুলির পাশাপাশি, ছোটখাটো প্যান্ডেলেও থাকে থিমের নয়া চমক৷ যত দিন যাচ্ছে বেড়ে চলেছে খুঁটি পুজোর চাকচিক্য। আগের পুজো প্যান্ডেলের উদ্বোধনে দেখা যেত তারকা বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খুঁটি পুজোর দিন থেকে বিভিন্ন তাবড় পুজো প্যান্ডেলগুলিতে বসে আমন্ত্রিত তারকাদের হাট। আর সেই কারণেই এবারও পুজো আসার অপেক্ষায় উদগ্রীব আট থেকে আশি সকলে।