নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস নামে একটি কোম্পানির ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। সেই কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি আধিকারিকরা। সেই তথ্য তুলে ধরে অভিষেককে খোঁচা দেন শুভেন্দু।
ইডির জিজ্ঞাসাবাদের একটি প্রেস বিবৃতি কপি তুলে ধরে শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘একজন বলেন তাঁর বিরুদ্ধে সামান্যতম দুর্নীতি প্রমাণ হলে তিনি ফাঁসির মঞ্চে উঠবেন। বাংলার মানুষ আপনার এই বক্তব্য নিয়ে বিচলিত নয়। আমি অনুরোধ করবে, ফাঁসির মঞ্চে উঠতে হবে না, তদন্তকারী সংস্থার ডাকে হাজির হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করুন।’ নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তদন্তে সহযোগিতার ব্যাপারে খোঁচা দেন নন্দীগ্রামের BJP বিধায়ক।
পালটা, নারদা কেলেঙ্কারির একটি ছবি তুলে ধরে শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন অভিষেক। নারদা ভিডিয়ো ক্লিপসের একটি ছবি তুলে ধরে অভিষেক বলেন, ‘আমি আশা করি এই ছবিটি আপনার বিবেককে আলোড়িত করার জন্য যথেষ্ট! আমি কি জিজ্ঞাসা করতে পারি আপনি কখন তদন্তকারী সংস্থার অফিসে যাচ্ছেন।’
এর আগেও একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিক বিষয় নিয়ে আক্রমণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস খানেক আগেই একটি সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছিলেন, তাঁকে বর্তমান রাজ্য সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য পাঁচ লাখ টাকা অফার করেছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ না করে তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে যান বলে জানান।
পালটা, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে ‘পাঁচ লাখের নেতা’ বলে কটাক্ষ করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলতে শোনা যায়, ‘এর রেট মাত্র ৫ লাখ। শুভেন্দু ৫ লক্ষ টাকায় বিক্রি হন, তাঁর কথার প্রতিক্রিয়া দেব না।’ এরকম একাধিক বিষয় নিয়েই বাগযুদ্ধ লেগেই থাকে বাংলার প্রথম সারির দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। সম্প্রতি বিদেশ থেকে নিজের চোখের চিকিৎসা করিয়ে কলকাতায় ফিরেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের প্রচারে তিনি অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির হয়ে প্রচারে থাকবেন শুভেন্দু অধিকারীও।