Isro Employee Is Part Of Chandrayaan 3 Mission Family Prayers For Lander Vikram


Chandrayaan 3 Landing Date: ২০১৯ -এর বিপর্যয় ভুলে ছেলের পরিশ্রমের সাফল্য ইতিহাসের দোরগোড়ায় চন্দ্রযান ৩। দুরুদুরু বুকে গোটা দেশের মতো প্রার্থনায় বসিরহাটের সরকার পরিবারও। এত আশা, এত আবেগের সামনে মাঝে মাঝে মনে উঁকি দিয়ে যাচ্ছে ২০১৯-এর বিপদ। সমস্ত আশঙ্কা কাটিয়ে আজ ঘরের ছেলের ১৭ বছরের পরিশ্রম সফল হওয়ার দিন। তাই গর্ব, আনন্দ, উৎসাহ, উৎকণ্ঠা মিলে মিশ্র অনুভূতি বসিরহাটের সরকার পরিবারে।

উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকায় ইসরো বাঙালি গবেষক মানস সরকারের বাড়ি। ২০০৬ সাল থেকে গবেষক হিসেবে ইসরোয় নিযুক্ত সে। ২০০৮ সালের চন্দ্রযান ১,যাদের সফলভাবে পা রেখেছিল চাঁদে। সেই টিমেও প্রত্যক্ষ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হল শেষ মুহূর্তে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছুঁতে পারেনি সে। সেই দিনের দুঃখ আজও ভুলতে পারিনি বাঙালি গবেষকের পরিবার। সেই আশঙ্কা কাটাতেই প্রার্থনায় ইসরোর গবেষক মানস সরকারের বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার ও মা রঞ্জিতা সরকার।
Chandrayaan 3 Landing : ‘…বুধে পা’, চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনায় নমাজপাঠ, চলছে হোম-যজ্ঞ

সাফল্যের আশায় প্রহর গুনছেন। সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা তাদের কাছে যেমন আবেগ অন্যদিকে, একটু ভয় কাজ করছে। শেষ মুহূর্তে চন্দ্রযান ৩ যেন সফলভাবে চাঁদে পা রাখতে পারে সেটাও তাদের কাছে এখন প্রার্থনা। ছেলের এত বছরের পরিশ্রম ও কৃতিত্বের সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা ।একদিকে টিভির পর্দায় চোখ, অন্যদিকে প্রার্থনা করছেন, যাতে এই সাফল্য দেশের নামে লেখা হয়ে যায়। সবমিলিয়ে বাঙালি গবেষকের পরিবার এখন হিসাব করছেন কাউন্টডাউন।
Chandrayaan 3 Moon Landing News: ‘চুরি যেতে পারে ইসরোর চন্দ্রযান-৩-এর কীর্তি’, আশঙ্কা প্রকাশ ফিরহাদের

চন্দ্রযান ৩-এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম। মা রঞ্জিতা দেবী জানান ,বসিরহাট গাছা আঁখার পুর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে ছিল তাদের পরিবারের আদি বাড়ি। ছোটবেলা থেকে ইসরোর গবেষক মানসের সেখানেই বেড়ে ওঠা । সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ন হাই স্কুল থেকে পড়াশোনার পর যাদবপুর রাজাবাজার হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাঠ শেষের পর প্রফেসর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। মেধাবী এই বাঙালি বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে।
Chandrayaan-3 : ‘চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য ভগবানের হাতে…’, প্রাক্তন ইসরো প্রধানের মন্তব্যে শোরগোল
২০০৬ সালের আগেই হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রফেসার হিসেবে নিযুক্ত হন মানস। সেই সময় আমেরিকা থেকে ডাক পেলেও তিনি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে সেই অফার ফিরিয়ে দেন। এরপরই ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে কারিগরি বিভাগে নিযুক্ত হন বসিরহাটের মানস সরকার। আজ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের গর্বে গর্বীয়ান সরকার পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *