মঙ্গলবার ধৃত সৌরভ, মনোতোষ ও দীপশেখরকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ইন্দ্রনীল হালদারের এজলাসে চলে শুনানি। যাদবুরের পড়ুয়ামৃত্যুর ঘটনাকে ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম’ বলে উল্লেখ করে চাঞ্চল্যকর দাবি করেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী গোপাল হালদার।
যাদবপুরের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিল পরিবার। মৃত পড়ুয়ার বাবা আঙুল তুলেছেন প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীর দিকেই। মঙ্গলবার আদালতে শুনানির সময় একই সুর শোনা গেল বিশেষ সরকারি আইনজীবীর গলায়। ধৃত সৌরভকে ঘটনার ‘কিনপিন’ বলে উল্লেখ করেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী।
গোপাল হালদার বলেন, ‘এক ছাত্রের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। Whatsapp চ্যাট পাওয়া গিয়েছে। ওই চ্যাট দেখলেই বোঝা যাবে, তাঁরা নিজেদের মধ্যে ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ঘটনার পর Whatsapp-এ একটি গ্রুপ খোলা হয়। তাতে একটি মেসেজ করে বলা হয় যে সৌরভ হস্টেলে থাকতেনই না, মাঝেমধ্যে আসছেন। তাঁর মায়ের শরীর খারাপ। এখানেই তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল। সৌরভকে বাঁচাকে কে ওই Whatsapp গ্রুপ খুলেছিলেন তা জানতে হবে।’
অন্যদিকে ধৃত সৌরভের আইনজীবী প্রতীক বসু বলেন, ‘১১ দিন ধরে সৌরভকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে, কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কেস ডায়েরিতে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হোক।’ মঙ্গলবার আদালতে ঢোকার মুখে সৌরভ বলেন, ‘আমি কোনও অপরাধী নই। অপরাধী সাজানো হচ্ছে।’ শুনানির পর সৌরভকে ২৫ অগস্ট এবং মনোতোষ ও দীপশেখরকে ২৬ অগাস্ট অবধি পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন আলিপুর আদালতের বিচারক।
উল্লেখ্য, যাদবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই ঘটনায় নাম জড়ানো DSF নেতা অরিত্র মজুমদার ওরফে আলুকে যাদবপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ডিসি এসএসডি বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তদন্ত কমিটির সামনে হাজির হয়েছেন অরিত্র।