এই ঘটনায় বক্তব্য থামিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি নিজে নিরাপত্তারক্ষীদের বলেন, ওই যুবককে নিয়ে গিয়ে বসাতে। একইসঙ্গে তিনি আশ্বস্ত করেন তাঁর কথা শুনবেন। স্নেহের সুরে অনুরোধ করেন, ‘এরকম করতে নেই বাবা। বসো, আমি সব শুনে নিচ্ছি।’ যদিও প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনেও ওই যুবক বসতে চাইছিলেন না। শেষে যুবকের অবাধ্য আচরণে মেজাজ হারান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঞ্চ থেকে সোজা ধমক দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘ যাও গিয়ে বসো। বসতে বলেছি তো। এই হচ্ছে সমস্যা। কারও সমস্যা থাকতেই পারে। একটা চিঠি লিখে দাও। টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে এসে এভাবে দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করার কী আছে! এরকম একটা প্রোগ্রামে কেউ কেউ শিখিয়ে পাঠান বাংলাকে বদনাম করার জন্য। এই যে দেখুন হাজার হাজার লোক এখানে সকাল থেকে বসে আছেন। কাজ করছেন। তাতে কেউ দৃষ্টি দেবে না। একবারও বলবে না। ওই একটি ছেলে এসে কী বলতে চাইল সেই কথাই বলবে। আমি তো এতক্ষণ নীচে প্রত্যেকটা শিল্পীর সঙ্গে কথা বলে এলাম যারা মেলায় বসেছে। প্রত্যেকটা স্টলে গিয়ে দেখে এলাম। এই যুবকের কথাও শুনব। ‘ এদিন ওই যুবকের এমন প্রচেষ্টায় সাময়িক গোলযোগ বাঁধে অনুষ্ঠানে। নিরাপত্তারক্ষীদের হস্তক্ষেপে ওই যুবককে বসানো হলে ফের বক্তব্য শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, মাসখানেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টার বদল করা হয়েছে। সিবিআইয়ের প্রাক্তন স্পেশাল ডিরেক্টর এবং কর্নাটক পুলিশের প্রাক্তন ডিজি রূপক কুমার দত্তকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নতুন নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের একুশে জুলাই আচমকা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির একদম কাছ থেকে গ্রেফতার করা হয় এক সশস্ত্র ব্যক্তিকে। যার কাছে ছিল আগ্নেয়াস্ত্র, ভোজালি। পুলিশের গাড়িতে ভুয়ো পরিচয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির একদম কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর কাছে একাধিক সরকারি পরিচয় পত্র ছিল। যার পরিচয় নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। নিরাপত্তায় মোতায়েন রক্ষীদের তৎপরতায় তাঁকে আটক করে কালীঘাট থানার পুলিশ। এরপরই পরিবর্তন হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা উপদেষ্টার।