মহিষাদল থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি ঘটনার তদন্তে নেমে মৃত যুবকের এক সঙ্গী শেখ রকিবুলকে আটক করে আনা হয়েছে। তবে ঠিক কোন কারণে মৃত্যু তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই জানা যাবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। মৃতের পরিবারে তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী ও ৩ সন্তান বর্তমান। ঘটনার খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার। কী ভাবে এমন ঘটনা তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। স্থানীয় বাসিন্দা বিজয় কুমার মণ্ডল জানান, ‘যে বাড়ির পিছনে মৃত দেহটি উদ্ধার হয়েছে সেখানে আমার বৃদ্ধ বাবা ও মা থাকেন।
আজ সকালে মা ও বাবা বাড়ির পিছনে গিয়ে ওই যুবককে পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে আমরা ছুটে আসি’। তিনি বলেন, ‘মৃত যুবকের বাইকটি রাস্তার পাশে অস্বাভাবিক ভাবে পড়ে ছিল। বাইকে রক্তের সামান্য ছিটেও লেগে ছিল। কিন্তু বাইকের থেকে কিভাবে অতটা দূরে আমার বাড়ির পিছনে ওই যুবক পৌঁছল তা নিয়েই সন্দেহ ছড়াচ্ছে।
কী ভাবে এই ঘটনা তার প্রকৃত তদন্তের দাবি জানাচ্ছি’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে তদন্ত চালানোর সময় জানা যায় স্থানীয় যুবক শেখ রকিবুল গতকাল রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত আহমেদের সঙ্গে কাটিয়েছিল। কিন্তু তারপর কী ভাবে এই মৃত্যু তা জানা নেই বলে রকিবুলের দাবি। এরপরেই পুলিশ রকিবুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। মৃতের স্ত্রী মানোয়ারা বিবি বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৪টে নাগাদ বাড়ি থেকে নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল আহমেদ।
মহিষাদলের একটি দোকানে রাখা সোনার গহনা ছাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই টাকা নিয়ে যায় সে। এরপর রাতে জানিয়েছিল দোকান থেকে গহনাগুলি বুধবার দেওয়া হবে। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফোনে যোগাযোগ হলেও তারপর থেকে আহমেদের ফোন সুইচ অফ হয়ে যায়’। এদিন মৃতদেহ উদ্ধারের সময় আহমেদের পকেটে টাকা বা সোনার গয়না কিছুই ছিল না বলে খবর। মৃতের মুখে গাঁজলা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান অতিরিক্ত নেশার কারণেও এমনটা হতে পারে।