Trinamool Congress : ফের গোষ্ঠীকোন্দল! সভাধিপতির পদ না পেয়ে ক্ষোভ জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থীর – purba medinipur trinamool congress conflict again


‘রাজনীতি আমার পেশা নয় নেশা। পদ নয় পতাকা দেখে রাজনীতি করি।’ সভাধিপতি না হয়ে এভাবেই ক্ষোভ উগরে দিলেন তরুণ জানা। জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও সহ সভাধিপতি ইতিমধ্যেই নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। সভাধিপতি নির্বাচনের দিন অনুপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের জয়ী প্রার্থী তরুণ জানা। আজ জেলা পরিষদের অফিসে গিয়ে শপথ নিলেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘১৯৯৮ সাল থেকে দল করি। দলের কঠিন সময়ে লড়াই করে রাজনীতি করেছি।’ নাম না করেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তরুণ জানা। তিনি বলেন, ‘দলকে ভালোবাসি তাই দলের এই সিদ্ধান্তই মেনে নিচ্ছি।’

Trinamool Congress : তৃণমূলের সভাধিপতি পদে নতুন মুখের মিছিল
বর্তমানে দলে অনেক বেনো জল ঢুকেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। আরও বলেন, ‘দীর্ঘদিন দল করি। তাই প্রকৃত সম্মান তরুণ জানার পাওয়া উচিত ছিল এমনটাই বলেন অন্যান্য নেতৃত্বরা।’ তিনি আরও বলেন, ‘অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকায় না থাকলে এই সমস্যাটা হতো না।’

সভাপতির দৌড়ে অনেকের মধ্যে ছিলেন তরুণ জানা। যদিও এবার সভাধিপতি হয়েছেন উত্তম বারিক। অন্যদিকে তরুণ জানা সভাধিপতির দৌড়ে থাকলেও তিনি পদ পাননি। আজ কর্মী সমর্থকদের নিয়ে জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত প্রার্থী তরুণ জানা শপথ নেন।

Kajal Sheikh News : কেষ্ট-বিরোধী কাজলের হাতে জেলা পরিষদের ব্যাটন! নয়া ‘ভাইজান’-এর উত্থান বীরভূমে
মূলত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই তিনি আসতে পারেননি এমনটাই জানান। কাঁথি সাংগঠনিক যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রকাস গিরি এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সভাধিপতি হিসেবে দেশপ্রাণ ব্লক থেকে উঠে আসে তরুণ জানার নাম।

যিনি নিজের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করেছেন জেলায়। শুধু তাই নয়, জেলা পরিষদের আসনে রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি দলের নানা প্রতিকূলতাকে ছাপিয়ে পাশে থেকে লড়াই করেছেন। এমনকী, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দল ছাড়ার পর সেই প্রতিকূল পরিবেশকে কাটিয়ে লড়াই করেছেন।

Birbhum Zilla Parishad : ‘কাজ করো, নয়তো গদি ছাড়ো!’ কেষ্ট গড়ে সভাধিপতি হয়েই রণং দেহি কাজল
তালিকায় নাম ছিল হলদিয়া মহকুমা অভিষেক দাস ও চণ্ডীপুর থেকে জয়ী রবিন মণ্ডলের সহ একাধিক জনের। তবে দলের হুইপ চিঠি গত বুধবার নিমতৌড়ি স্মৃতি সৌধে দেওয়া হয়। এরপরই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উত্তম বারিকই হবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয় পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিককে। সহকারী সভাধিপতি হন সুহাসিনী কর। আর তারপরই দলের উপর অভিমান হয় তরুণ জানার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *