উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা ছিল। কিন্তু সেদিন থেকে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। SDO-র সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে মামলা করা হয়। খেজুরিতে ১৯ অগাস্ট সভা করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীর। ১৮ তারিখ ১৪৪ জারি হয়। পরে ২৬ অগাস্ট সভার দিন স্থির হয়। তালপট্টি ঘাট উপকূল থানা সভার অনুমতি দেয়নি।
বিষয়টি নিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ১৪৪ ধারা জারির ক্ষেত্রে কোনও পূর্ব কারণ দেখানো হয়নি। আর ঠিক সভার আগের দিন জারি করা হয়েছে, যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই ভাবে ১৪৪ ধারা জারি করা যায় না। এমন নির্দেশ খারাপ ধারণা তৈরি করে। কাউকে আটকানোর জন্য এটা করা হচ্ছে বলে মনে হওয়া স্বাভাবিক। ১০ দিনে চারটে FIR হয়েছে সেখানে। এর প্রেক্ষিতে ১৪৪ ধারা জারি কেন? প্রশ্ন তোলা হয় হাইকোর্টে।
আদালত মনে করছে, ১৪৪ ধারা জারির ক্ষেত্রে আইনে যে সব অবস্থার কথা বলা আছে তার কোনওটাই নেই এই ক্ষেত্রে। আশঙ্কায় কথা বলা হলেও নির্দিষ্ট ভাবে কোনও ঘটনার কথা পুলিশ বলছে না। কোর্ট একেবারেই এই ১৪৪ ধারার জারির পক্ষে পরিস্থিতি আছে বলে মনে করেছে না।
আদালত এদিন পুলিশকে আরও জানায়, মনে রাখা দরকার, এটা পুলিশ স্টেট নয় বা জরুরি অবস্থাও জারি হয়নি। আরো ভালো ভাবে বিবেচনা করে এটা করা উচিত। এসডিও জারি করা নির্দেশ খারিজ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা রাজ্যের দায়িত্ব।
২৬ আগস্ট ২ টো থেকে ৬ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সভা নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। জানানো হয়েছে, সভা করার তিনজনের নাম দেবে উদ্যোক্তারা। যাদের সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ রাখবে। উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না। এসপি পূর্ব মেদিনীপুর পর্যাপ্ত পুলিশ নিরাপত্তা রাখবেন।