শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে গাঁজা কেন, মদ, চরস সহ অন্যান্য একাধিক মাদক সেবন চলে। ওই জায়গাটাকে নৈরাজ্য বানিয়ে ফেলেছে।’ রাজ্যের আরও আগে এই বিষয়গুলি নিয়ে পদক্ষেপ করা উচিত ছিল বলে জানান তিনি। তাঁর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে যদি NIA তদন্ত হয়, তাহলে সমস্ত কিছু ‘সমূলে উৎপাটিত’ হবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু অতি বাম সংগঠনকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উঠিয়ে চান না বলে মত তাঁর।
অন্যদিকে, যাদবপুরের পড়ুয়ার খুনের তদন্তে একাধিক পড়ুয়া ও প্রাক্তনীর মোবাইল ঘেঁটে দেখেছে পুলিশ। অনেক পড়ুয়াই নিজেদের মোবাইলে থাকা একাধিক বিতর্কিত ছবি ডিলিট করে দেয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় পড়ুয়াদের মোবাইলগুলো বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই মোবাইল পাঠানো হয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের হাতে।
মোবাইল থেকে এরপর বেরিয়ে আসে একাধিক তথ্য প্রমাণ এবং ভয়ঙ্কর কিছু ছবি। তাতেই দেখা যায়, টবে করে গাঁজা চাষ হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের বারান্দায়। মেইন হস্টেলের এ-ওয়ান এবং এ-টু ব্লকে এই অপকর্ম হতো বলে প্রমাণ মিলেছে পুলিশের হাতে। তবে সেইসব টবগুলোর বর্তমানে কোনও অস্তিত্ব পায়নি। পুলিশ মনে করছে, ঘটনার পরেই ওই টবগুলি কেউ বা কারা সরিয়ে দিয়েছে ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়ে।
যাদবপুরের ঘটনার তদন্তপ্রবাহে আরও একটি চাঞ্চল্যকর প্রমাণ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, ধৃত সৌরভ চৌধুরী ঘটনার পরেই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ চালু করেছিলেন। প্রথমে তিনি একটি জিবি মিটিং ডাকেন, সেখানে সবাই উপস্থিত না থাকায় গ্রুপে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়। র্যাগিংয়ের চিহ্ন মুছে ফেলতে এই কাজ করা হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে যাদবপুর পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় র্যাগিংয়ের তথ্য প্রমাণ আগেই দিয়েছে পুলিশ। ওই পড়ুয়াকে নগ্ন করে র্যাগিং করা হয়, তাকে বারান্দায় ওই অবস্থায় হাঁটানো হয় বলেও জানা গিয়েছে। যাদবপুরের ঘটনায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রহিবিসন অব র্যাগিং ইন এডুকেশনাল ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট’ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।