বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে বিভিন্ন বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য প্রতিদিন গড়ে এক হাজারেরও বেশি রোগী আসেন। টিকিট কাটার জন্য কাউন্টারে ভিড় উপচে পড়ে। সময়ও লাগে প্রচুর। অনেকে অনলাইনে টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে এলেও প্রচুর রোগীকে অফলাইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েই টিকিট কাটতে দেখা যায়। সেখানে রোগীদের হয়রানি কমাতে এবার কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে টিকিট কাটার ব্যবস্থা চালু হলো বাঁকুড়া মেডিক্যালের আউটডোরে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় দেওয়ালে কিউআর কোডের স্টিকার সাঁটানো থাকছে। তা স্ক্যান করলেই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে একটি ফর্ম খুলবে। নাম, আধার নম্বর ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সেই ফর্মটি সাবমিট করলেই মোবাইলে চলে আসবে একটি টোকেন নম্বর। তার পর নির্দিষ্ট কাউন্টারে গিয়ে সেই টোকেন নম্বর বললে আউটডোরে ডাক্তার দেখানোর টিকিট হাতে পেয়ে যাবেন রোগী। তবে অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল যাঁদের নেই, তাঁরা আগের মতো সরাসরি কাউন্টারে লাইন দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অন্য দিকে, এদিন কলকাতার বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গণ থেকে ভার্চুয়ালি বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য দু’টি প্রকল্পের শিলান্যাস করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মধ্যে একটি ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক। অন্যটি ডিস্ট্রিক্ট ইনটিগ্রেটেড পাবলিক হেলথ ল্যাবরেটরি (জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগার)। মেডিক্যাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতাল চত্বরে তৈরি হবে ৫০ শয্যার ক্রিটিকাল কেয়ার ব্লক।
সেখানে আইসিইউ, এইচডিইউ, আইসোলেশন বেড, আইসোলেশন রুম, ডায়ালিসিস, অপারেশন থিয়েটার সমেত চিকিৎসার সবরকম ব্যবস্থা থাকবে। মেডিক্যালে জনস্বাস্থ্য পরীক্ষাগারটি তৈরি হলে রক্ত পরীক্ষার জন্য রোগীদের মেডিক্যালে ছুটে আসতে হবে না। রোগীরা রক্তের নমুনা দেবেন নিজেদের এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরীক্ষার জন্য রক্তের সেই নমুনা পৌঁছে যাবে বাঁকুড়া মেডিক্যালে।