জানা গিয়েছে, সাইবার অপরাধের মামলায় আদালতে আসা অভিযুক্তদের কোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দুপুরে আদালতের শুনানি শুরু হতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের কাছে নালিশ করেন আভিযুক্তদের আইনজীবী। ক্ষুব্ধ বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত সিআইডি আধিকারিকদের একাধিক প্রশ্ন করেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘কার নির্দেশে সিআইডি এটা করেছে? রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে? কোন সুপিরিওর নির্দেশ দিয়েছেন?’ এখানেই শেষ নয়, বিচারপতি সেনগুপ্ত তৎক্ষণাৎ রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন যে, দায়িত্ব থাকে যে অফিসাররা ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁদের এবং অভিযুক্তদের আদালতে অবিলম্বে হাজির করতে হবে। একইসঙ্গে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘হাজির
না হলে আমি যা নির্দেশ দেওয়ার দেব। কেউ ছাড় পাবেন না।’
এরপরই সিআইডির সুপারিনটেন্ডেন্ট আদালতের নির্দেশ পেয়েই দুই অভিযুক্ত সহ তাদের গ্রেফতার করা পাঁচ অফিসারকে নিয়ে বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে হাজির হন। বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে সরকারি আইনজীবীর দাবি, সাইবার অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তা ও নন্দিনী গুপ্তাকে হাইকোর্টের পশ্চিম গেটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, কোর্টের ভিতর থেকে নয়। এই জবাব শোনার পর বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, ‘আজ সকালে এই আদালতের নির্দেশে তারা হলফনামা দেন। তারপরে যদি অন্য এজেন্সি তাদের তুলে নিয়ে যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আমি আজই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলব।’
এই প্রবণতা তৈরি হলে উদ্বেগের বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। বিষয়টি নিয়ে এসওপি তৈরি করার কথাও বলেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, ‘কেন রুল ইস্যু করব না? এত দিন সিআইডি কি করছিল? আমি প্রধান বিচারপতি সঙ্গে আজই কথা বলবো। না হলে এই প্রবনতা চলবেই। দরকারে SOP তৈরি করব। কাল সকালে নির্দেশ দেবে আদালত।’