আদালতে শপথ নিয়ে তাঁরা বলেন, ‘অভিযুক্ত কোনও অপরাধ করেনি।’ অভিযুক্তকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। যদিও পুলিশি তদন্ত ও অন্যান্য স্বাখ্য প্রমানে দোষী সাব্যস্ত হয় অভিযুক্ত প্রৌঢ়। আদালত অভিযুক্তকে দুটি পৃথক ধারায় যাবজীবন ও দশ বছরের জেলের সাজা দেয়। পকসো মামলায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করে।
৩৭৬/এ, বি ধারায় কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা শিশুকে দিতে হবে বলে জানান চন্দননগরের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক কাজি আবুল হাসেম। জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর চন্দননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বছর চারেকের এক শিশুর বাবা। ঘটনার দিন বিকেলে কলুপুকুর এলাকায় তাঁর মেয়ে খেলতে গিয়েছিল।
প্রতিবেশী প্রৌঢ় অমৃত সাউ শিশুকে তাঁর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌন নিপীড়ন করে বলে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ পকসো ও ৩৭৬/এ, বি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়। ১৮ আগস্ট ২০২৩ এই মামলায় প্রৌঢ়কে চন্দননগর আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। পরেরদিন সাজা ঘোষণা হয়।
যে গুরুতর অভিযোগ এনে নিজেই এফ আই আর করেছিলেন শিশুর বাবা, সেই মামলায় স্বাক্ষ্য দেওয়ার সময় শিশুর বাবা ও মা দুজনেই মিথ্যে স্বাক্ষ্য দেন বলে অভিযোগ। আদালত শিশুর বাবাকে বুধবার পাঁচ দিনের জেলের সাজা শোনায়। আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যে স্বাক্ষ্য দেওয়ায় অপরাধে এই সাজা পান তিনি।
চন্দননগর পুলিশের ডিসিপি বিদিত রাজ বুন্দেশ এই ঘটনার জেরে বলেন, ‘এই রায় একটা দৃষ্টান্ত। এর ফলে আদালতে মিথ্যে স্বাক্ষী দিয়ে মামলাকে প্রভাবিত করা এবং আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করা থেকে বিরত থাকবে স্বাক্ষীরা। শিশুর উপর নিপীড়ন হয়েছিল এটা তদন্তে স্পষ্ট হয়। তা সত্ত্বেও ওই শিশুর বাবা তদন্তকে ভুল পথে চালিত করেন।’