জগদেশ্বরী দেবী অবাক হলে ওই ব্যক্তি জানায়, ‘আপনার স্বামী বিরুদ্ধে অফিসের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নোটিশ চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। সেই কারণে তাঁকে সহ আরও দুজনকে ধরেছে পুলিশ। আমি কোনও মতে লুকিয়ে পালিয়ে এসেছি। পুলিশ আপনার বাড়িতেও আসবে এবং আপনার বাড়ি থেকে সমস্ত মূল্যবান জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে চলে যাবে। তাই বাড়িতে থাকা সমস্ত মূল্যবান সম্পত্তি ও নথিপত্র সরিয়ে ফেলুন। যদি লুকোতে না পারছেন আমাকে দিয়ে দিন। আমি রেখে দিচ্ছি’।
সরল বিশ্বাসে এক প্রতারকের কথায় তাকেই সমস্ত সোনার গয়না ও মূল্যবান সম্পত্তি দিয়ে দেন ওই মহিলা। আর এরপরেই সব কিছু খুইয়ে ফেলেন ওই গৃহবধূ। পরে জানতে পারেন পুরো ঘটনাটিই ভুয়ো। ঘটনাটি ঘটেছে চিত্তরঞ্জন থানার অন্তর্গত চিত্তরঞ্জন রেল শহরে ৫৪ নম্বর রাস্তায়। ওই গৃহবধূ বলেন, ‘ওই ব্যক্তি এসেই বলে সব কিছু দ্রুত লুকিয়ে ফেলুন। আমি সাময়িকভাবে বুঝতে পারিনি কী করব এবং কোথায় লুকাব। ওই ব্যক্তির কথা বিশ্বাস করে আমি তার কাছে জানতে চাই কোথায় লুকোব এই সমস্ত জিনিসপত্র?
তখন ওই ব্যক্তি আমাকে আশ্বাস দেয় আমি আপনার স্বামীর বন্ধু আমার কাছে এখন বর্তমানে জিনিসপত্রগুলো রেখে দিন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমি জিনিসপত্রগুলো আপনাকে ফেরত দিয়ে দেব’। জগদেশ্বরী দেবী ওই ব্যক্তির কথায় বিশ্বাস করে তাকে জিনিসপত্র গুলি দিয়ে দেন। এবং ওই ব্যক্তি তারপর তাঁর বাড়ি থেকে চম্পট দেয়। কিছুক্ষণ পর স্বামীর মোবাইল ফোনে চেষ্টা করলে তিনি জানতে পারেন তাঁর স্বামী কারখানায় চাকরি করছেন এবং সবকিছুই ঠিকঠাক আছে।
তখন তিনি বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন জগদেশ্বরী দেবী এবং তাঁর স্বামী ওয়াই আর মূর্তি। জগদেশ্বরী দেবী বলেন, ‘প্রায় পাঁচ লাখ টাকার জিনিসপত্র আমার খোওয়া গিয়েছে’। চিত্তরঞ্জন থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
