প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর পরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে গাঁজার ঠেক নিয়মিত বসত বলে অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তনীদের অনেকেই। তাঁদের দাবি, ‘বর্তমানে যাঁরা পড়ুয়া, তাঁরা নন, বরং বহিরাগতরাই বেশি ক্যাম্পাসে এসে গাঁজার আসর বসাতেন।’ এদিনই প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মোট ১৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন লালবাজারের অফিসারেরা। যাঁদের মধ্যে ৭ জন মেসের কর্মী, এবং ৭ জন পড়ুয়া। এই পড়ুয়াদের মধ্যে ৪ জনের হস্টেলে থাকতেন। পড়ুয়ার মৃত্যুর বিষয়ে মেস কমিটির সদস্যরা কী জানেন, সেকথাই এদিন তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হয়। এরপর ধৃত ছাত্রদের বয়ানের সঙ্গে মেস কমিটির সদস্যদের বক্তব্য খতিয়ে দেখা হবে।
এই ঘটনার তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের মৃত্যুর পরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছিল। মৃত্যুর ঘটনার পরে কী বলা হবে, তা নিয়েই দীর্ঘ আলোচনা হয় ওই গ্রুপে। কথাবার্তার পরেই আচমকা ডিলিট করে দেওয়া হয় ওই গ্রুপটি। তবে, এই ঘটনায় ধৃতরা এখনও বারবার নিজেদের বয়ান বদল করছে বলে লালবাজারের দাবি। সে কারণেই ৯ অগস্ট রাতে ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে এখনও একাধিক পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। তদন্তকারীদের বক্তব্য, প্রত্যেকের বক্তব্যই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশের পাশাপাশি রাজ্য মানবাধিকার কমিশনও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুতে তদন্ত করছে। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পরে এবং বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে র্যাগিংয়ের প্রমাণও পেয়েছে তারা। পুরো বিষয়টি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে খুব শীঘ্রই জানানো হবে।