SSKM Hospital Kolkata : ‘মেয়ে নেই…’, এখনও জানে না কেউ! SSKM-র উদ্দেশে রওনা সুতপার বাবা-মায়ের – sskm hospital nursing student unnatural death parents coming kolkata


এসএসকেএম-এর হস্টেলের শৌচাগার থেকে উদ্ধার হয়েছে নার্সি ছাত্রীর দেহ। মৃত ছাত্রীর নাম, সুতপা কর্মকার। বাড়ি উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের দেবীনগরে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে। মেয়ের মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে। ইতিমধ্যেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মৃতার বাবা-মা। শোকস্তব্ধ পাড়া প্রতিবেশীরাও।

জানা গিয়েছে, মতা সুতপা কর্মকারের বাবা সুদামা কর্মকার পেশায় একজন স্বর্ণকার। মা বেলা কর্মকার গৃহবধূ। সুতপা তাঁদের একমাত্র মেয়ে। গত চার বছর ধরে কলকাতায় পড়াশোনা করছিলেন সুতাপা। এই বিষয়ে স্থানীয় পুর কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ সাহা জানান,পুলিশ প্রশাসন তাঁকে ফোন করে জানিয়েছে যে সুতপার বাবা ও মা-কে দ্রুত কলকাতায় পাঠানোর জন্য। সুতপার বাবা ও মা ইতিমধ্যেই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

Jadavpur University Ragging Death Case : বিবস্ত্র করে ‘ইনট্রো’, দেড় ঘণ্টা নির্যাতন! যাদবপুরকাণ্ডে পুলিশি জেরায় হাড়হিম করা তথ্য
ঘটনায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পাড়া প্রতিবেশীরাও। এই প্রসঙ্গে কর্মকার পরিবারে এক প্রতিবেশী গৌতম মণ্ডল বলেন, ‘সুতপা খুবই ভাল মেয়ে। পরিবারটিও খুবই ভাল। পুলিশ জানায় যে খুব অসুস্থ রয়েছে। এর বেশি আর কিছু বলতে পারব না। আমরা খুবই চিন্তাতে রয়েছি।’

জানা গিয়েছে, সুতপা লিটন হস্টেলে থাকতেন। হস্টেলের অন্যান্য আবাসিকরা জানাচ্ছেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল না সুতপাকে। বেশ কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে হস্টেলের শৌচাগারে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় তাঁতে। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। আবাসিকদের কারও কারও দাবি, ওই ছাত্রীকে আংশিক ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সেক্ষেত্রে কী ভাবে ওই ছাত্রীর মৃত্যু ঘটল তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।

Siliguri Student Murder Case: স্কুল ইউনিফর্ম পরা ছাত্রীর দেহ উদ্ধার ঘিরে শোরগোল শিলিগুড়িতে, বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ
খবর পেয়ে দ্রুত হস্টেলে পৌঁছান পুলিশের পদস্থ আধিকারিক। পাশাপাশি পৌঁছান হস্টেলের কর্মীরাও। হস্টেলের আবাসিকদের সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরে অন্যমনষ্ক দেখাচ্ছিল সুতপাকে। সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে তিনি কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন কি না সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ আধিকারিকরা মৃতার সহপাঠিনীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন বলেও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। একইসঙ্গে ঘটনায় কোনও প্রেমঘটিত দিক রয়েছে কি না, কিংবা কোনও সহপাঠিনীর সঙ্গে তাঁর কোনও বিবাদ হয়েছিল কি না, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ইতিমধ্যেই মৃতার মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। সেটির কল রেকর্ড, মেসেজ ও চ্যাটিং অ্যাপগুলিও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। গোটা ঘটনায় হস্টেলের আবাসিকদের মধ্যে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *