‘আমরা পেরেছি মা!’ চন্দ্রজয়ের পর ফোন নীলাদ্রির, চোখে জল পরিবারের


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে Chandrayaan 3 এর গোটা দেশবাসীর ধারণাই বদলে দেবে। ইসরোয় যুদ্ধ জয়ের পর প্রতিক্রিয়ায় জানালেন উত্তর ২৪ পরগনার মছলন্দপুরের বিজ্ঞানী নীলাদ্রি মৈত্র। গোটা দিনের ধকল কাটিয়ে নীলাদ্রি যখন প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন, বাড়িতে আনন্দে আত্মহারা তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

Chandrayaan 3 Landing : ল্যান্ডিং সফল হতেই ফোনে কান্না ছেলের! বিজ্ঞানী সৌমজিৎকে নিয়ে উচ্ছাস নিউ টাউনে
ইতিহাস গড়ল ভারত। চাঁদের বুকে পা রাখল ভারতের ইসরো র তৈরি চন্দ্রযান বিক্রম। দীর্ঘ জল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে অবতরণ করল চাঁদের অজানা অংশ দক্ষিণ মেরুতে। উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা সহ তামাম দেশবাসী। চন্দ্রযান চাঁদের মাটি স্পর্শের সঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ছেলে নীলাদ্রি মৈত্র অভিযানে শামিল থাকায় যেন বাড়তি উত্তেজনা ও গর্ব অনুভব করছে মছলন্দপুরবাসীরাও।

Chandrayaan 3 Mission Update: ২০১৯ -এর বিপর্যয় ভুলে ছেলের পরিশ্রমের সাফল্য কামনা, চন্দ্রযান ৩-এর জন্য উৎকণ্ঠায় ইসরোর গবেষকের পরিবার
মিশন সফল হওয়ায় খুশি নীলাদ্রির বাবা মা ও। গোটা দিন চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। কখন আসবে সেই মুহূর্ত? ছেলের সাফল্য ধরা দেবে চাঁদের মাটিতে। চাঁদের বুকে ভারতের চন্দ্রযান নামতেই মায়ের চোখে জল। খুশিতে মেতে ওঠে নীলাদ্রির পরিবার। উত্তর চব্বিশ পরগনার মছলন্দপুরের নকপুল এলাকার বাসিন্দা বছর ৩১ এর যুবক নীলাদ্রি মৈত্রও যুক্ত ছিলেন চন্দ্রযান ৩ এর অভিযানের সঙ্গে।

Chandrayaan 3 Live Update: চন্দ্রযান ৩-এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম, ঘুম উড়েছে ISRO-র বাঙালি গবেষক পরিবারের
চন্দ্রযান সফল ভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করতেই উচ্ছ্বাস ধরা পরল নীলাদ্রির মছলন্দপুরের বাড়িতেও। দেশের জয়ের পাশাপাশি ছেলের জয়কেও যেন পরিবারের সকলে উদযাপন করলেন টিভির সামনে বসে গোটা দিন ধরে। যদিও কর্মসূত্রে বাবা-মার সঙ্গে কর্মস্থলেই রয়েছেন নীলাদ্রি। বছর চারেক আগে শেষ এসেছিলেন মছলন্দপুরে বাড়িতে। তারপর থেকেই চন্দ্রযান ৩ এর কাজের সুবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েন মেধাবী এই যুবক। ছোটবেলার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও আজ নীলাদ্রিকে নিয়ে গর্বিত। উচ্ছাস ধরা পড়েছে নীলাদ্রির পাড়াতেও।

Chandrayaan 3 Success: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩! ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হল ভারত

নীলাদ্রি এয়ার স্পেস কাম সাইন্টিস্ট পদে চাকরি করছেন গত ১০ বছর ধরে। মছলন্দপুরের রাজবল্লভপুর স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর খড়গপুর আইআইটিতে ভর্তি হন সে। পরবর্তীতে বিটেক পড়তেই দক্ষিণের কেরালায় পারি। ইসরোর তৈরি চন্দ্র অভিযানের অংশ হতে পেরে পাশাপাশি ভারতের চাঁদের বুকে পা রাখার ইতিহাসের সাক্ষী থাকতে পেরে আজ খুশি নীলাদ্রিও।
ভারত মহাকাশ গবেষণায় যেমন মাইলস্টোন স্থাপন করল, পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনার এই যুবকের হাত ধরে দেশের সাফল্যের ইতিহাসেও স্মরণীয় হয়ে থাকল মছলন্দপুর। আজ কেরালায় বসে নীলাদ্রি বাবা মা এবং মছলন্দপুরবাসী নীলাদ্রি কে নিরে গর্ববোধ করছেন। করবে নাই বা কেন আজ যে ইতিহাস লিখল ভারতবর্ষ! সেই ইতিহাসে তো নীলাদ্রি নামটাও ছেপে গেলো। আজ নীলাদ্রির মত একাধিক বাংলার গবেষকদের অবদান রয়েছে এই ইতিহাস গড়ার পিছনে। নীলাদ্রিও আজ গর্বিত এই চন্দ্রযান ৩ এর অংশ হতে পেরে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *