Bankur News : ৯৫-তেও গড়গড়িয়ে স্কুল জীবনের কবিতা পাঠ! ভাইরাল বাঁকুড়ার ‘ওয়ান্ডার ওম্যান’, দেখুন ভিডিয়ো – bankura woman sindhubala pati strong memory is appreciated everywhere video spread good news


৯৫টি বসন্ত পেরিয়েও তাঁর স্মৃতিশক্তি হার মানাবে তরুণদের। সেই কোন ছোটো বেলায় স্কুলের পাঠ্য বইয়ে পড়া কবিতা আবৃত্তি করে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বাঁকুড়ার বৃদ্ধা। তালডাংরার হাড়মাসড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশাতড়া গ্রামের সিন্ধুবালা পতি নামে এক বৃদ্ধার কীর্তি এখন সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালে ওয়ালে ঘুরছে। এই বয়সে পৌঁছেও এখনও অবলীলায় একের পর এক কবিতা পাঠ করে যাচ্ছেন ওই বৃদ্ধা। তাঁর স্মৃতিশক্তি দেখে রীতিমতো অবাক নেটিজেনরা।

Doctor In West Bengal : মোটা বেতনের চাকরি ছেড়ে বিনাপয়সার ডাক্তার ফারুক
সিন্ধুবালার পরিবার সূত্রে খবর, পরাধীন ভারতে তালডাংরা থানা এলাকারই নতুনগ্রাম গ্রামে তাঁর জন্ম। তৎকালীন সময়ে প্রত্যন্ত গ্রাম গুলিতে নারী শিক্ষার প্রচলন সেভাবে ছিল না। তাসত্ত্বেও গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছিলেন তিনি। পরে অল্প বয়সেই কেশাতড়া গ্রামের বাসুদেব পতির সঙ্গে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় পড়াশোনায় ছেদ পড়ে। এখন দুই ছেলে, বৌমা, নাতিদের নিয়ে তাঁর বসবাস। কিন্তু এই বয়সে এসেও সেই সময়কার পাঠ্য বইয়ের কবিতা হুবুহু মুখস্থ বলে যেতে পারেন তিনি।

এমনকী সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সহস্র যোজন দূরে থেকেও অসংখ্য কবিতার মাঝেও পাড়ার এক প্রয়াত ভাসুরপোকে নিয়ে লেখা কবিতা আবৃত্তি করেছেন সিন্ধুবালা। নেটিজেনদের হাত ধরে সেই সোশ্যাল মিডিয়াতেই এখন ‘ভাইরাল’ বাঁকুড়ার এই বৃদ্ধা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া বৃদ্ধার কবিতা পাঠের ভিডিয়ো শেয়ার করছেন। অনেকেই বৃদ্ধার স্মৃতিশক্তিকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন।

Trending News : গোঁফদার কীর্তিতে থ এলাকাবাসী! মোচের জোরে আজব কেরামতি হুগলির অশোকের
সিন্ধুবালার পুত্রবধূ দীপালি পতি বলেন, ‘আমার শাশুড়ির বয়স ৯৫ বছর। আগেকার দিনে চতুর্থ শ্রেণি অবধি তিনি পড়াশোনা করেছিলেন। এখনও যে স্কুল জীবনে পড়া কবিতা ওঁর মনে রয়েছে, এটাই অনেক বড় ব্যাপার। আগে তিনি খাতায় কবিতাও লিখতেন। বয়স হয়েছে, তাই মাঝেমধ্যে ভুল হয়। কিন্তু তাসত্ত্বে স্কুলে জীবনে পাঠ্য বইয়ে পড়া কবিতা এই কম বয়সে এসে গড়গড়গিয়ে বলে যাওয়া কম কথা নয়।’

Gulzar Birthday: ‘কাঁচালঙ্কা আর সরষের তেল দিয়ে…’, গুলজারের জন্মদিনে অনবদ্য উপহার শান্তনু মৈত্রের
হাড়মাসড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ আদক বলেন, ‘আমাদের গ্রামের এই বৃদ্ধাকে নিয়ে এখন সর্বত্র চর্চা চলছে। এমন স্মৃতিশক্তি কিন্তু সবার থাকে না। আমরা ৫০ বছর বয়সে এসেও কত প্রয়োজনীয় জিনিস ভুলে যাই। মনে করতে পারি না। কিন্তু সেখানে উনি ৯৫ বছর বয়সেও কোনও ছোট জীবনে পড়া কবিতা এখনও মনে রেখেছেন। শুধু তাই নয় তা পাঠ করার সময়ও কোথাও ভুল হচ্ছে না। এটা অনেক বড় কৃতিত্বের।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *