জানা গিয়েছে, দার্জিলিংয়ের তাকভর সংলগ্ন পাতাবং এলাকার রঙ্গিত গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজনবাড়ি ব্লকে টানা বৃষ্টির জেরে মাঝরাতে হঠাৎ নামে ধস। এর জেরে ভেঙে পড়ে আস্ত একটি বাড়ি। ওই বাড়ির বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের মৃত্যু হয়। ভাঙা বাড়ির ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েই তাঁর মৃত্যু। মৃতের নাম বাবুলাম রাই বলে জানা গিয়েছে। তাঁর মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপ থেকে ইতিমধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ধ্বংসস্তূপে আরও একজন আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছেছে স্থানীয় পুলিশ। ধস সরাতে সাহায্য করছেন স্থানীয় মানুষও। ধসের খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে যান দার্জিলিং মহকুমা কমিটির চেয়ারম্যানও।
লাগাতার বৃষ্টির জেরে পার্বত্য এলাকায় তৈরি হয়েছে ধসের আশঙ্কা। পুলবাজার থানার পুরদুং এলাকাতেও নেমেছে ধস। তবে এখানে কোনও প্রাণের আশঙ্কা তৈরি হয়নি। তবে ধস নেমে লোধামা যাওয়ার রাস্তার অনেকটাই বসে গিয়েছে। ফলে লোধামার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ফলে ওই অঞ্চলে গেলে আটকে পড়তে পারেন পর্যটকেরাও।
অন্যদিকে, এদিন দিনভর উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই লাগাতার বৃষ্টি চলছে দার্জিলিঙের পার্বত্য ও সংলগ্ন সমতল এলাকায়। দার্জিলিঙের সঙ্গেই জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ারেও এদিন তুমুল বৃষ্টির সর্তকতা জারি করা হয়েছে। আগামীকাল বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জারি হলুদ সর্তকতা। এরই মাঝে বৃষ্টিতে বাড়ছে নদীর জলস্তরও। ফুলে ফেঁপে উঠেছে তিস্তা। বিপদসীমার কাছাকাছি জলস্তর পৌঁছনো নিয়ে আশঙ্কা। আগামী ২-৩ দিনে উত্তরে আরও বৃষ্টি বাড়বে বলে আশঙ্কা। এভাবে লাগাতার বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে আতঙ্কিত উত্তরবঙ্গ বাসী। গত জুন জুলাইয়েই নদীতে জলবৃদ্ধির জেরে জলবন্দি হয়ে পড়েছিল আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির একাংশ।
অন্যদিকে, ধস নেমেছে পশ্চিম সিকিম এলাকাতেও। সিকিমের এদিনের ধসের ঘটনায় এক বছর চারেকের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ধসে পাথর ও মাটি চাপা পড়েই মৃত্যু শিশুর। একইসঙ্গে ধসের জেরে বন্ধ একাধিক রাস্তা। ভূমি ধসের কারণে একজনের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ারও খবর মিলেছে।