শুক্রবার বিকেলে গেরুয়া শিবিরের দুই কর্মসূচি ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যাদবপুর অঞ্চল। ২০২০ সালে শাহিনবাগে NRC আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে যে স্লোগান তুলে রাজনৈতিক ময়দানে বিতর্কের জন্ম দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা অনুরাগ ঠাকুর, তা এদিন শোনা গেল RSS-এর ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের মিছিলে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হল ‘গোলি মারো’ স্লোগান। একইসঙ্গে বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে বাঁধল ধুন্ধুমার।
ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এখনও টগবগ করে ফুটছে যাদবপুর ক্যাম্পাস। ২০১৯ সালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে গেরুয়া শিবিরে কর্মসূচির সময় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট, যাতে কোনও বহিরাগত ঢুকতে না পারে। তবুও ঠেকানো গেল না অপ্রীতিকর পরিস্থিতি।
এদিন গোলপার্ক থেকে ‘যাদবপুর বাঁচাও’ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু হয় বিজেপি যুব মোর্চার। ইন্দ্রনীল খাঁ, অগ্নিমিত্রা পাল, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল এগোয় ৮বি বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশে। মিছিলের মাথা কিছুটা এগিয়ে যাওয়ার পরই শুরু হয় উত্তেজনা। যাদবপুরের চার নম্বর গেটের কাছে মিছিল আসতেই, সেই মিছিল থেকে পড়ুয়াদের উদ্দেশে দেখানো হয় জুতো। এমনকী বোতল ছুড়ে মারারও অভিযোগ ওঠে। উত্তেজনা ঠেকাতে মোর্চার বিক্ষোভের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ নম্বর গেটের সামনে অম্বিকেশ মহাপাত্র, ইংলিশের বিভাগীয় প্রধান মনোদীপ মণ্ডল সহ অধ্যাপকেরা মানব বন্ধন করেন।
মিছিলের তরফ থেকে একসময় তীব্র বিশৃঙ্খলা ছড়ায় বলে অভিযোগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে রাস্তায় বসে পড়েন বিজেপির যুব মোর্চার বেশ কিছু সদস্য। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে তোলা হয় তাদের। মিছিল শেষে এই পুরো বিশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু অধিকারী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদেরই দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘কোর্টের মান রেখে আমাদের ছেলেদের সামলেছি। নইলে আমাদের ছেলেরা চামড়া তুলে দিত। এরা পড়ুয়া নয়, মাফিয়া। গাঁজা না ফুঁকলে এদের মাথা চলে না। মদ, ফেনসিডিল খেয়ে পড়ে থাকে। এদের দাওয়াই আড়ং ধোলাই। এদের শিক্ষাই এমন, তাই জুতো দেখিয়েছে।’