যদিও বীরভূম জেলায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের ঘটনা এই প্রথম নয়। গত জুন মাসেই নলহাটি এলাকা থেকে এক দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র সমেত গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধৃতের নাম দিলদার শেখ। জুন মাসের এক রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বীরভূমের নলহাটি থানার লোহাপুরে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখান থেকে দিলদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় একটি পাইপগান এবং একটি কার্তুজ।
বেআইনি ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে দিলদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত কয়েক মাস ধরেই বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার হচ্ছে অস্ত্রশস্ত্র। এই কারণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঘোষণার আগে থেকেই আরও জোরদার করা হয়েছিল পুলিশি তল্লাশি। এছাড়াও মল্লারপুরে এক মাস আগে গুলি ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম সুরজ সেখ ও ভিক্টর সেখ। তাদের বাড়ি বীরভূমের তারাপীঠ থানার সন্ধ্যাজোল গ্রামে। গোপন সুত্রে খবর পেয়ে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে তাদের গ্রেফতার করে মল্লারপুর থানার পুলিশ।
ধৃত দুজন মল্লারপুর এলাকায় সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করছিল। সুত্র মারফত খবর পেয়ে মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধৃতদের আটক করে। আটকদের জেরা করার সময় তাদের কথবার্তায় অসঙ্গতি দেখা দেয়। সেই সময় তাদের কাছে তল্লাশি চালিয়ে সুরজ সেখের কাছ থেকে একটি গুলি ভর্তি দেশী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরই পুলিশ দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে ১৫ দিন আগে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয় বীরভূম জেলার সাঁইথিয়ায়। ডাউন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হয় এগুলি।