Kolkata Municipal Corporation : বাড়ি ভাঙার ‘রাবিশ’ KMC-র হাতে তুলে দেওয়া বাধ্যতামূলক, যোগাযোগ এই নম্বরে – house demolition debris must be sent to kmc said firhad hakim


ভেঙে পড়া কোনও বাড়ি বা কোনও বাড়ি ভেঙে ফেলার পরে সেই ধ্বংসস্তূত বাধ্যতামূলকেভাবে কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দিতে হবে, যাতে এই ধরণের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের প্ল্যান্ট সঠিকভাবে কাজ করতে পারে, শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এমনকী কোনও নির্মাণের সময় যে বর্জ্য উৎপন্ন হবে, সেগুলিও পাঠাতে হবে প্ল্যান্টে, এমনটাই জানিয়েছেন পুরসভার এক আধিকারিক।

এই বিষয়ে একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যম তাদের গত জুলাই মাসের এক প্রতিবেদনে জানায়, প্ল্যান্টটির প্রতিদিন ৫০০ টন বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সেখানে প্রতিদিন মাত্র ১৫ টন বর্জ্য যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে নিউটাউনে কলকাতা পুরসভা এই প্ল্যান্টটি উদ্বোধন করে। কংক্রিটের টুকরো, ইট ইত্যাদি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হতে পারে পেভার ব্লক। অনেক অ্যাপার্টমেন্টের ফুটপাথ বা জনসাধারণের চলাচলের জায়গা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় এই পেভার ব্লক।

Firhad Hakim : এলবিএস-রা লোককে মুরগি করেন: ফিরহাদ
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানন, ওই প্ল্যান্টে বর্জ্য পাঠানোর জন্য বেশ কয়েকটি পুরসভাকে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে কলকাতার আশেপাশের পুরসভাগুলিকেও ওই প্ল্যান্টে বর্জ্য পাঠানোক জন্য বলা হয়েছে বলে জানান এক আধিকারিকও। এই বিষয়ে ফিরদাহ হাকিম আগে জানিয়েছিলেন, এই ধরণের বর্জ্য কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত জলাশয়গুলিকে ভরাটের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। আর তার নেপথ্যে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে প্রমোটারদের। তিনি আরও জানান, কলকাতার প্রায় প্রতিটি পাড়াতেই স্থানীয় ঠিকাদাররা এই ধরণের বর্জ্য নিয়ে যান। কিন্তু সেগুলি কোথায় যাচ্ছে, সেই বিষয়ে কোনও ধারণা থাকে না বাড়ির মালিকদের।

ফিরহাদ বলেন, ‘জনগণকে সচেতন হতে হবে যে বাড়ি ভাঙার সময় বা নতুন নির্মাণের সময় যে বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে তা প্রকৃতিকে বিপন্ন করে এমনভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং আমরা জায়গা থেকে বর্জ্য তুলে নেব।’ এক্ষেত্রে মানুষকে যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরও দেন তিনি। নম্বরটি হল ৮৩৩৫৯৯৯১১১। এক্ষেত্রে পুলিশকে মাঝেরহাট সেতুতে বিশেষভাবে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে বলেও জানান মেয়র।

Trams In Kolkata : ট্রাম থাকুক শহরের চার রুটেই, চান মেয়র
পুরসভার বিল্ডিং বিধি অনুসারে, মালিককে বাড়ি ভেঙে ফেলার আগে পুরসভাকে তা জানাতে হবে। বর্জ্য বাছাই ও পরিবরণের জন্য মালিককে একটি ফি দিতে হবে। আর বাড়ির মালিক সেই ফি না দিলে বিল্ডিং প্ল্যানে দেওয়া হবে না অনুমোদন। তবে আপাতত এই বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির ওপরেই বেশি জোর দিচ্ছে পুরসভা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *