যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদ তাঁর গলায়। সেই বার্তা নিয়েই পায়ে হেটে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা। আগামী ২৮ শে অগাস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে বিশেষ বার্তা নিয়ে মালদা থেকে পায়ে হেঁটে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। শনিবার রাতে বারাসতে এসে পৌঁছলেন সামীম।
সামীম আখতার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্র পুর থানার মহেন্দ্রপুর শান্তি পাড়ার বাসিন্দা। সামীম মালদা জেলার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তাঁর বার্তা, গোটা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গতে শিক্ষার আলো নিভিয়ে দিতে চাইছে বিজেপি এবং বাম ও অতি বামেরা। তাঁর কথামতো যাদবপুরে যে নিন্দনীয় ঘটনা,যেখানে SFI-এর গুন্ডা বাহিনীরা স্বপ্নদীপের মত এক ছাত্রে স্বপ্নকে ভাঙে চুরমার করে দিল।
সামীম জানান, এই ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয় এবং আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা যেনো আর কেউ ঘটাতে না পারে তার ব্যবস্থা যেন নেওয়া হয়। সামীমের আরও দাবি, এই বাংলায় ৮০ শতাংশ স্কুল কলেজ আছে যেখানে বেপরোয়া স্কুল কলেজ চলাকালীন যারা সবসময় নেশায় আসক্ত থাকে। তারা স্কুল কলেজে প্রবেশ করে দাপাদাপি করছে।
তারা যেনো এই কাজ না করতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও এই বাংলার শাসনভার বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে। পুলিশ মন্ত্রীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে কী সামীম তাদের দলের সুপ্রিমোকেই বার্তা দিতে মালদা থেকে পায়ে হেটে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছাত্র সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে এলেন?
সামীম বারাসত কলেজে এসে পৌঁছয়। গত ১৮ ই অগাস্ট মালদা থেকে বেড়িয়েছিল। তারপর পায়ে হেঁটে একে একে বিভিন্ন জেলা পার হতে হতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে এসে পৌঁছন। বারাসত কলেজের সামনে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের ছেলেরা তাকে উৎসাহ দিতে হাজির হয়।
বারাসত শহর TMCP সভাপতি লিঙ্কন মল্লিক জানান, মূলত যাদবপুরের ঘটনার প্রতিবাদে সামীম আক্তার মালদা থেকে কলকাতার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে প্রতিবাদ জানাতে এসেছে। সামীম এর মত অসংখ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ছেলে-মেয়েরা অংশগ্রহণ করবে ওই ছাত্র সমাবেশে।