রোগীকে দড়ি দিয়ে বাঁধা হল খাটিয়ার সঙ্গে, তারপর তা কাঁধে নিয়ে চলল লোকজন…road underdeveloped so patient tied up with a cot and carried to hospital in this manner through out the jouerney


জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: খাটিয়ায় বেঁধে রোগীকে নিয়ে যাতায়াত। কেন? বাড়ির এলাকায় ঢুকবে না অ্যাম্বুল্যান্স। তাই বাড়ি থেকে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে তাঁকে খাটিয়ায় বাঁধতে হল। যা দেখে অনেকের সাধারণত মৃতদেহের অন্তিম যাত্রার কথাই মনে পড়ে। ঘটনার একটি ভিডিয়ো তোলা হয়েছে। ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠতে হয়। অনেকেই শিউরে উঠেছেনও। শিউরে ওঠার এই ছবি দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায়।

আরও পড়ুন: Bardhaman: ফুটওভার ব্রিজ থেকে শিশুকে ফেলে দেওয়া হল চলন্ত মালগাড়িতে?

কী ছবি? খাটিয়ায় দড়ি বেঁধে, কাঁধে চাপিয়ে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে বাড়িতে। রাস্তা বেহাল। বাড়ি পর্যন্ত ঢুকছে না কোনও গাড়ি। পৌঁছচ্ছে না অ্যাম্বুল্যান্স। রোগীর পক্ষে হেঁটে যাওয়া অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়ে খাটিয়াতে করে, মৃতদেহর মতো দড়ি দিয়ে বেঁধে হাসপাতালে যেতে হচ্ছে এবং হাসপাতাল থেকে ফিরতে হচ্ছে রোগীকে। 

পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার মির্জাপুরের এক ব্যক্তি গুরুতর অসুস্থ হওয়াতে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তাঁর বাড়ির লোকজন। তবে রোগীর বাড়ির লোকজনদের মাথায় প্রথম চিন্তা ঢুকেছিল, কীভাবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে হাসপাতালে? বাড়ির রাস্তায় তো অ্যাম্বুল্যান্স কিংবা কোনও ছোট গাড়ি ঢুকবে না! তখন বাধ্য হয়ে তাঁকে খাটিয়ায় বেঁধেই নিয়ে যাওয়া হল। তিনি সুস্থ হওয়ার পরে বৃহস্পতিবার তাঁকে বাড়িতেও আনা হয় একইভাবে। 

আরও পড়ুন: Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, ৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা!

ডেবরা ব্লকের একটি এলাকায় আগেও অবশ্য এমন ঘটনা ঘটেছে। ডেবরার সত্যপুর অঞ্চলের মির্জাপুর সংসদের চকচনী গ্রামে দীর্ঘদিন রাস্তা বেহাল। প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা। সেখান দিয়ে চলা দুস্কর হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে। শিশুরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। রোগী ও পরিজনদেরও হাসপাতালে যাওয়া কার্যত বন্ধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বারবার বিভিন্ন প্রশাসনিক দফতরে জানানো হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। এখন সাধারণ মানুষের একটাই প্রশ্ন– কবে হবে এর সুরাহা?

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *