কে এই সামসুর আলি ও আজিবুর রহমান?
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার বাসিন্দা সামসুর আলি তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও পুলিশ প্রশাসনের মদতেই এই বেআইনি বাজি কারখানা সে চালাত বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এক স্থানীয় বাসিন্দার দাবি, এই নিয়ে নিজের দাদার সঙ্গেও বিবাদ ছিল সামসুরের। এমনকী সামসুরের বাড়ির ছাদে যখন বাজি রোজে শুকোতে দেওয়া হত, সেই সময় তাতে জলও ঢেলে দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক অশান্তিও হয়। আজিবুরও তৃণমূল কর্মী বলে দাবি স্থানীয়দের। যদিও ঘটবার পর থেকেই পলাতক সে।
স্থানীয়রা আরও জাবি করছেন, বিষয়টি নিয়ে আগে একাধিকবার পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এমনকী এই ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার জন্য লিখিতভাবেও পুলিশের কাছে আগেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনওরকম কর্ণপাত করেনি পুলিশ। স্থানীয়রা মনে করছেনস পুলিশ আগে তৎপর হলে আজকের এই ঘটনা এড়ান যেত।
এদিকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজ্যের এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে অভিযোগ। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলেন, এই জায়গায় যে বেআইনি বাজি কারখানা চলত, তা ওই মন্ত্রী জানতেন। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটানাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছেছেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও। শুরু হয়েছে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া। তবে উদাসিনতার অভিযোগ তুলে পুলিশকে ঘিরেও শুরু হয় বিক্ষোভ। পাশাপাশি একটি বাড়িতে ভাঙচুরও চালান স্থানীয়রা।
এদিনের এই ঘটান উস্কে গিয়েছে গত মে মাসে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের স্মৃতি। খাদিকুলেও একটি বেআইনি বাজি কারখানায় ঘটে যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। এমনকী ওই বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগেরও মৃত্যু হয় প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে। খাদিকুলের ঘটনাতেও স্থানীয়দের অভিযোগ ছিল, ভানু বাগের বাজি কারখানার আড়ালে চলত বোমা তৈরির কাজ। আর পুলিশ প্রশাসন সবকিছু জানলেও চুপ করে বসেছিল বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।