Private Tutor: ভুয়ো পরীক্ষার আয়োজন করে ছাত্রীদের ডেকে সর্বস্ব লুঠ করে নেওয়ার অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে – teacher allegedly fraud with students and took their all jewellery


শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। জলঙ্গির ফরিদপুরে জলঙ্গির ফরিদপুরে একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের অলঙ্কার চুরির অভিযোগ উঠল। ছাত্রীদের গয়না নিয়ে কার্যত বেপাত্তা ওই শিক্ষক। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জলঙ্গি থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, ছাত্রীদের নিজের বাড়িতে ডেকে অভিনব উপায়ে জালিয়াতির অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরিকল্পনা করে ছাত্রীদের বাড়িতে ডেকে সর্বস্ব লুঠের অভিযোগ। অভিযোগ, রবিবার সকালে ওই শিক্ষক তার বাড়িতে একটি ‘ভুয়ো’ বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করেন। শুধু মাত্র ছাত্রীরাই সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন বলে জানানো হয়। এলাকার কিছু ছাত্রী সেই টোপ গিলে নামও নথিভুক্ত করান। এরপরই জালিয়াতির ছক কষেন ওই শিক্ষক বলে অভিযোগ।
Bankura News : বন্ধের মুখে সরকারি স্কুল! বাঁকুড়ায় ‘অন্ধকার’ পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ

ভুয়ো বৃত্তি পরীক্ষার নাম করে ডেকে এনে ছাত্রীদের স্ত্রীধন অর্থাৎ অলংকার লুঠ করার অভিনব জালিয়াতির পরিকল্পনা ফেঁদেছিলেন জলঙ্গির ফরিদপুরে বেসরকারি স্কুলে কর্মরত ওই শিক্ষক। তার ফাঁদে পা দিয়ে বাড়িতে পরীক্ষা দিতে আসা ছাত্রীদের তিনি বলেন, ‘পরীক্ষায় সোনার অলংকার নিয়ে বসা যাবে না। ভিতরে যেতে হলে সব বাইরে খুলে ঢুকতে হবে।’ পরীক্ষা দেওয়ার জন্য শিক্ষকের কথায় সব গয়না তাঁর কাছে জমা দিয়ে দেয় ছাত্রীরা।
Birbhum News : নিত্যদিন দেরিতে স্কুলে ঢোকা! শিক্ষকদের বাইরে দাঁড় করিয়েই গেটে তালা ঝোলালেন অভিভাবকরা

এরপর সুযোগ বুঝে সোনার অলঙ্কারগুলি নিয়ে চম্পট দেন অভিযুক্ত শিক্ষক। যাওয়ার সময় ছাত্রীদের তিনি বলেন, ‘তোমরা বসে পরীক্ষা দাও। আমি তোমাদের জন্য বিরিয়ানি নিয়ে আসছি।’ বিরিয়ানির কথা শুনে পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও পড়ুয়া বসে থাকে বলে অভিযোগ। বহুক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও স্যার না আসায় সন্দেহ হওয়া ছাত্রীদের। তারা উঠে খোঁজ নিতে গেলে দেখে শিক্ষক বেপাত্তা। এরপরে ছাত্রীদের শোরগোলে ঘটনা জানাজানি হয়। মেয়েদের অভিভাবকরা এসে ওই শিক্ষকের বাড়ি ঘেরাও করে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। খবর যায় পুলিশেও।
Visva Bharati University : অধ্যাপকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ, বিশ্বভারতীতে অনশনে নৃতত্ত্ববিদ্যা বিভাগের ছাত্রীরা
খবর পেয়ে ওই শিক্ষকের পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে আটক করেছে জলঙ্গি থানার পুলিশ। কিন্তু এখনও অভিযুক্তের কোনও খবর নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ, ‘ওই শিক্ষকের এলাকায় প্রচুর ধার দেনা রয়েছে। প্রায়শই বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নেন তিনি।’ এক পড়ুয়ার মা ক্ষোভে ফেটে পড়ে বলেন, ‘আমার মেয়ের হাতের আংটি, দুল, চেন সব খুলে নিয়েছে। একটা মেয়েকেও ছাড়েনি। সবার সব যা গয়না ছিল, সব খুলে নিয়েছে।’ দ্রুত অপরাধীকে ধরার জন্য পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *