এদিনের সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘নিজের বন্ধুকে বসিয়ে দিচ্ছে ভিসি করে। কোনওদিন ট্রেনিংই নেয়নি। দশবছর অন্ততপক্ষে ট্রেনিং নিতে গিয়ে। তাঁকে নিয়ে এসে বসিয়ে দিয়েছে ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে। যাদবপুরে BJP সেলের প্রেসিডেন্ট কে? তাঁকে বসিয়ে দিয়েছে ভিসি করে। এটা কি মগের মুলুক নাকি!’
এরপরেই রাজ্যপালকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ আপনার এক্তিয়ারের মধ্যে আমি ঢুকতে চাইছি না। দয়া করে আমাদের এক্তিয়ারে আপনি ঢুকবেন না। মনে রাখবেন, আপনি আর মুখ্যমন্ত্রী এক নয়। ইউ আর নমিনেটেড বাট উই আর ইলেক্টেড।’ নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে ‘পাঙ্গা’ নেওয়ার চেষ্টা করবেন না বলে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রীর এদিন আরও অভিযোগ করেন, রাজভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ফোন কল সিস্টেম করা হয়েছে। ছাত্রদের ডেকে বলছে – দুর্নীতি কী বলতে পারো? মমতা বলেন, ‘দুর্নীতি তো আপনারা সবথেকে বেশি করেছেন, দুর্নীতি কি আপনি আগে উত্তরটা দিন।’ এরপরেই মমতার নিশানায় উঠে আসে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। নোটবন্দি থেকে শুরু করে বিদেশি চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে আদতে কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারের প্রতিনিধি বলে আগে বহুবার আক্রমণ শানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
