যদিও আরও পরে এক প্রতিনিধি দল BDO অফিসে গিয়ে তাঁদের দাবিপত্র তুলে দেন বলে জানা গিয়েছে। বিক্ষোভকারী ছাত্র ছাত্রীদের তরফে জানানো হয়েছে, মানগ্রাম-রাজপ্রাসাদপুর এলাকার একাধিক রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল। ওই গ্রাম গুলি থেকে এলাকার একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র ছাত্রীরা পড়াশোনা করে।
বর্ষায় রাস্তা গুলিতে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে তাঁরা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে। এই বিষয়ে এক ছাত্রী বলে, ‘আমরা স্কুলে যাই ভাঙা রাস্তা পার হয়ে। সাইকেল চালাতে পারি না। হেঁটে গেলেও ঝুঁকি থাকে। এই রাস্তা পার হতে আমাদের অনেক সময় লেগে যায়’। এক ছাত্রীর অভিভাবক ক্ষোভের সুরে বলেন, ‘কোনও যানবাহনই গ্রামের মধ্যে ঢুকতে চায় না এই রাস্তার কারণে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসে এবারও সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতারা আশ্বাস দিয়েছিলেন রাস্তা করে দেওয়ার।
কিন্তু বিগত বছরগুলির মতো এই বছরও ভোট পার হয়ে যাওয়ার পর কোনও রাজনৈতিক দলেরই দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই রাস্তার জন্য পড়ুয়ারা স্কুলে যেতে না পেরে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার মুখে। গ্রামের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ারও উপায় থাকে না। অনেকের রাস্তাতেই মৃত্যু হয়’। আরও এক গ্রামবাসী এই বিষয়ে বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচন চলে গেল। প্রতিশ্রুতি অনেক ছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন কতটা হতে চলেছে তা নিয়ে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। রাস্তা দিয়ে নয়, কাঁধে সাইকেল তুলেই পার হতে হচ্ছে আমাদের।
গ্রামের ছেলে মেয়েদের স্কুলে যেতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে’। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য এই অভিযোগ মেনে নিয়ে বলেন, ‘এতদিন ভোট চলছিল। আর বোর্ড গঠন হতেও বেশ দেরি হয়েছে। এবার নতুন করে রাস্তা গড়া হবে। এই বিষয়ে আলোচনা চলছে’।