স্থানীয় আদিবাসী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। আহতদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি তাঁদের মেডিক্যাল রিপোর্টও খতিয়ে দেখেন সাংসদ। সরেজমিনে গোটা ঘটনা দেখার পরে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন সাংসদ রাজু বিস্তা। পাশাপাশি, পুলিশ প্রশাসন এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। সংসদ রাজু বিস্তা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এখানকার আদিবাসী শ্রমিকদের ওপরে এখানকার স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমানের মদতে জমি মাফিয়ারা হামলা চালায়।
আদিবাসীদের উপরে গুলি বোমা চালানো হয়েছে। তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। গোটা পশ্চিমবঙ্গেই আদিবাসী মানুষদের উপরে এমন অত্যাচার চলছে। রাজ্য সরকার এদের পাট্টা দেওয়ার বদলে তাদের জমি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব যে আপনি চোখ খুলুন এবং দেখুন কিভাবে আপনার দলের বিধায়ক জমি মাফিয়াদের সাথে মিলে আদিবাসী মানুষদের উপরে অত্যাচার করছে। এগুলো বন্ধ করুন না হলে ক্ষতিগ্রস্ত আদিবাসী মহিলাদের চোখের জল আপনাকে কোনোদিন ক্ষমা করবে না।
আমি সাংসদ হিসেবে নই একজন মানুষ হিসাবে এদের পাশে আছি’। অপরদিকে, তাঁর এই আশ্বাসে অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছে আদিবাসী পরিবারগুলি। আদিবাসী পরিবারের এক সদস্য সোনামনি হাঁসদা বলেন, ‘আমরা খুব আতঙ্কে আছি। সারারাত ঘুম আসে না। উনি এসে আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন বলে জানিয়েছেন’।
এদিকে, তৃণমূল পরিচালিত চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি ফজলুর হক জানিয়েছেন,’দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা তো এতদিন নিখোঁজ ছিলেন। আপনাদের মাধ্যমে জানলাম যে উনি এসেছেন। তাঁর তোলা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। গোটা বিষয়টা পুলিশ প্রশাসন দেখছে। এবং আমরাও দলগতভাবে দেখছি’।